Thursday, August 24, 2017
সম্পাদকীয় / গৌতম সেন..
এখন আগষ্ট মাস – শ্রাবণ পেরিয়ে ভাদ্র এল। বাতাসে শরতের অপেক্ষা তবু বিগত
মাসখানেকের কিছু কম সময়েই মাতাল শ্রাবণ তার উদ্দামতার যে বিপর্যয়ের চিহ্ন রেখে গেল
গোটা বাংলায়, ভাবলে শিউরে ওঠে মন। ঘোর প্লাবনের অশুভ ছায়ায় বিপর্যস্ত আজ সমগ্র
বাংলা – প্রথমে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বর্ধমান, হাওড়া, হুগলী, পশ্চিম
মেদিনীপুরের বিস্তীর্ন অঞ্চল জলের তলায়, বিশেষতঃ ঘাটালে জল এতটাই বেড়েছে যে অবস্থা
সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর বৃষ্টির প্রাবল্য আরও বেড়ে ভাসাল
উত্তরবঙ্গের বহু অঞ্চল – ডুয়ার্স, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি,
ধূপগুড়ি,ফালাকাটা, আলিপুরদুয়ার এমন বহু অঞ্চল এখন বানভাসি। সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন –
সড়ক, রেলপথ বেশ কিছুদিন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আশার কথা এই যে সম্প্রতি গত দুদিন
বৃষ্টির তান্ডব একটু স্তিমিত হওয়ায়, জল
নামতে শুরু করেছে এবং সড়ক ও রেল যোগাযোগ পূনস্থাপিত হয়েছে। দূর্গতদের অঞ্চলে ধীরে
ধীরে সরকারী, বেসরকারী ও নানান স্বয়ংসেবক সংস্থা গিয়ে পৌঁছেছে, এখনও দলে দলে
পৌঁছচ্ছে।
এরই মধ্যে বিষাদগস্থ মনে পালন হয়ে গেল দেশের একাত্তরতম স্বাধীনতা দিবস
অনুষ্ঠান। দেশের সর্বাঙ্গীন উন্নতি সাধন কল্পে নতুন করে অনেক শপথ, প্রতিশ্রুতি
যথারীতি মহা সমারোহে উচ্চারিত হল। আপামর দেশবাসীর মনে আশা জমা রইল সুদিনের জন্য।
শরতকাল আগতপ্রায়, শিউলি, কাশে আর কদিনের মধ্যেই ভরে উঠবে বাংলার মাঠ-ঘাট। মনে
বাজতে শুরু করে দিয়েছে আগমনী সুর – বাংলার সর্বোৎকৃষ্ট উৎসব দূর্গা পুজো প্রায় এসে
পড়ল, বাকি মাত্র হাতে গোনা কটা দিন।
উৎসবের দিন ভাল কাটুক আপনাদের সবার – একটাই আন্তরিক আবেদন জানাই, আনন্দের মাঝে
চিন্তা-ভাবনার ভিতর সেই সব দূর্গত বানভাসিদের কথা একটু স্থান দেবেন। যে যেমন ভাবে
পারেন, বাড়িয়ে দিন আপনাদের সহৃদয় সাহার্যের হাত। মনে রাখবেন এ আমাদের এক নৈতিক ও
সামাজিক দায়িত্ব।
অন্যান্যবারের মতই এ সংখ্যার জন্য ভাল সংখ্যায় আপনাদের লেখা জমা পড়েছে। সমস্ত
রচনাকার ও বিপুল পাঠককুলকে চিলেকোঠা ওয়েবজিনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আসন্ন শারদীয়া উৎসবে সকলকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত শেষ করলাম।
ধারাবাহিক / স্বপ্নস্বরূপ - ৯ / ন ন্দি নী সে ন গু প্ত ..
শ্রাবণ বিদায় নিয়েছে কিছুদিন
হল। ভাদ্র মানেই কি বিরহ? ‘ভরা বাদর, মাহ ভাদর, শূন্য মন্দির মোর’... না, এই
পদ রবীন্দ্রনাথের নয়; বিদ্যাপতির। তবে এই পদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাসের চরিত্র নিখিলেশের এই বিরহী উচ্চারণ শুনে প্রথমে চমকে উঠেছিলাম।
অদ্ভুত এক ঘটনাপ্রবাহের বাঁকে ব্যবহৃত হচ্ছে এই পঙক্তিগুলি। বিশ্ববরেণ্য কবি তিনি;
ইচ্ছে করলেই কি নিজে দুটি প্রাসঙ্গিক পঙক্তি লিখে উপন্যাসে ব্যবহার করতে পারতেন না
সেই কবিতা? সেরকম ত করেছেন আমরা দেখতে পাই ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে। একাধিক কবিতা
নেমে এসেছে উপন্যাসের পাতায়। কিন্তু না; তিনি যে শুধুই কবি নন। তিনি সত্যদ্রষ্টা। চরিত্র
নির্মাণ কিভাবে করবেন, কোন চরিত্রের ভাবনায় কেমন বীজ বুনে দেবেন, এ কথা তার থেকে
ভালো আর কে বা জানে? বিদেশী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও নিখিলেশের দেশীয় সংস্কার
প্রবল। সে ভারতবর্ষকে আত্মস্থ করতে চেয়েছে স্বদেশী স্বনির্ভরতার মধ্য দিয়ে; বিদেশী
বর্জনের অসহযোগের মধ্য দিয়ে নয়। ভারতবর্ষের আত্মার অনুভব রয়েছে তার চরিত্রের গভীরে।
তাই প্রাচীন কবি বিদ্যাপতির পদ বারম্বার উচ্চারিত হয় উপন্যাসের এই সন্ধিক্ষণে, যখন
নিখিলেশের সঙ্গে বিমলার দুরত্ব প্রকট হয়ে উঠছে। ভরা ভাদ্রের প্লাবনের মাঝে শূন্যতার
হাহাকার জাগিয়ে তোলেন রবীন্দ্রনাথ আদি কবির পদ আশ্রয় করে।
রবীন্দ্রনাথের বিশেষ প্রিয় ছিল এই পদটি। দেখতে পাই ‘জীবনস্মৃতি’ তে কবি
লিখছেন... ‘আমার গঙ্গাতীরের সেই সুন্দর দিনগুলি গঙ্গার
জলে উৎসর্গ-করা পূর্ণবিকশিত পদ্মফুলের মতো একটি একটি করিয়া ভাসিয়া যাইতে লাগিল। কখনো
বা ঘনঘোর বর্ষার দিনে হারমোনিয়াম-যন্ত্র-যোগে বিদ্যাপতির ‘ভরা বাদর মাহ ভাদর’ পদটিকে
মনের মতো সুর বসাইয়া বর্ষার রাগিণী গাহিতে গাহিতে বৃষ্টিপাতমুখরিত জলধারাচ্ছন্ন মধ্যাহ্ন
খ্যাপার মতো কাটাইয়া দিতাম; কখনো বা সূর্যাস্তের সময় আমরা নৌকা লইয়া বাহির হইয়া পড়িতাম—
জ্যোতিদাদা বেহালা বাজাইতেন, আমি গান গাহিতাম;’ এই সময়ে কবি তার জ্যোতিদাদার সঙ্গে চন্দননগরে কিছুদিন ছিলেন গঙ্গার ধারের একটি
বাগানবাড়িতে। সময়কাল ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ। অসাধারণ এক সুরসঞ্চার করেছিলেন কবি এই পদটিতে।
বিরহের এই পদ যেন এক অন্য মাত্রা পেয়েছে এই গানে। ‘দেশ’ রাগের আশ্রয়ে বর্ষা
এবং বিরহ মহিমান্বিত হয়ে উঠেছে এই সঙ্গীতে। বিদ্যাপতি নিজেও কি জানতেন যে প্রায় সাড়ে
তিনশ বছর পরে এক কবি তার এই পদে সুর দিয়ে এটি একটি গানে রূপান্তরিত করবেন? প্রবল বারিপাতের
মাঝে অসীম তৃষ্ণা- ‘ফাটি যাওত ছাতিয়া’, এই হাহাকারকে সঙ্গীতে পরিণত করে তিনি বুঝিয়ে
দিয়েছিলেন প্রবল দুঃখের আঁধারের মাঝখান থেকেই উত্থিত হয় মধুর সঙ্গীত।
তবে কি কেবল বিরহ আর দুঃখের আঁধারের স্মৃতি কবির ভাদ্রমাসে?
না, এতখানি একপেশে হলে আর তাকে ‘বিশ্বকবি’ বলি কেন? উচ্ছ্বাস নিয়ে আসে তার পঙক্তি,
যখন সঙ্গীতে বেজে ওঠে ‘রিমিকি ঝিমিকি ঝরে ভাদরের ধারা’। ভাদ্র রেখে যায় এক অনির্বচনীয়
আবেশ, কবি উচ্চারণ করেন, ‘মনে মনে ভাবি এসেছিল সে কে!’
শিশুপাঠ্য কবিতায় দেখি ভাদ্রমাসের আনন্দ। শুধুই কি
‘পাগলা বাঁদর’ এর সাথে অন্ত্যমিল টানার জন্য কবিতায় তিনি ‘পয়লা ভাদর’ এর অবতারণা করেছেন?
মনে হয় না। বর্ষা ঋতু শেষ হয়ে যাবার পরে শরতের আগমনের এই সন্ধিক্ষণের মুহূর্তগুলিই
যেন ঝনঝনিয়ে বেজে ওঠে তার ছড়ার প্রতি ছত্রে। চিঁড়ে কোটার গল্প আসে, আসে ইলিশের ডিমভাজার
গন্ধ। জীবনযাপনের রঙরস খেলাচ্ছলে এভাবেই তিনি লুকিয়ে রাখেন এক শিশুপাঠ্য কবিতায়। এই
সন্ধিক্ষণের উপলব্ধি বারে বারে মূর্ত হয়ে উঠেছে তার অজস্র সঙ্গীতে...
‘আজ শরতের ছায়ানটে
মোর রাগিণীর মিলন ঘটে
সেই মিলনের তালে তালে বাজায় সে কঙ্কণ।’
কবিতা / ভ্রম / গৌতম সেন..
মাটির রসে যেমন উদ্ভিদ
বর্ষার সুধারসে যেমন নদী,
চাঁদের জ্যোৎস্নায় ভিজে তারাদের পরিবারও
মেতে ওঠে জীবনের গানে।
মাটি, জল, আলো
সবই তো আমার আছে,
ওরা যদি মাতে, তবু আমি মাতি কই?
মন কেন শুধু ধেয়ে চলে,
নিশিদিন ভালবাসা পানে?
উদ্ভিদ, নদী, তারারা -
তাদেরও তো মন আছে বলে জানি,
তারা বৃথা খুঁজে মরে না তো ভালবাসা!
মৃত্তিকা-রস, বরষার জল, জোৎস্নালোক
জোগায় তাদের প্রাণ ও ভালবাসা।
আমি তুমি সবাই মানুষ
আমরা যে বিশাল ব্যতিক্রম -
তাই আজীবন এই অন্বেষণ।
তার প্রতি ভরসা, সম্ভ্রম ভুলে মন
শুধু এ পথচলা পথে করে চলে ভ্রম!
কবিতা /প্লাবন / পিনাকী দত্ত গুপ্ত..
শিউলি
ঝরার সময় এখনও আসেনি
শরৎ এখনও গায়নি শিশির-গান,
বাধ ভাঙা
জলে ভেসেছে জন-অরণ্য,
ডুবে গেছে যত বিজাতীয় অভিমান!
ডুবে গেছে যত বিজাতীয় অভিমান!
শ্রাবনে
শ্রাবনে বিষাদের ঘনঘটা;
তবুও
বৃষ্টি নামুক নগর প্রান্তে,
যারা
ভিজেছিলো রুক্ষ শরীর জুড়াতে,
বানভাসি
ঢেউ তারা কি পেরেছে জানতে?
অচকিতে
আজ ডুবেছে মানুষ, ঈশ্বর।
কেউ কি
জানতো একদিন বাঁধ ভাঙবেই?
পরতে
পরতে জমেছে পলিও বিস্তর,
কেউ কি মানতো শ্রাবন মৃত্যু আনবেই?
কেউ কি
শুনেছো মৃত্যু নামার শব্দ?
কেউ কি
গুনেছো শবদেহ কত ভাসছে?
কেউ চিৎকার
ক'রে কি কখনও বলেছো?
সাবধান
হও, দানবী সুনামি আসছে?
আমরা
সবাই মিথ্যার জাল বুনেছি!
যুগ-যুগান্ত
নারকীয় খেলা চলছে;
ভূমিহীন
শিশু একবিংশের শতকে ক্ষীণকায়,
তবু দৃষ্টি
ওদের জ্বলছে।
মৃত্যুমিছিলে
কেন আমি নেই, তুমি নেই?
সমতলে ব'সে আমরা লিখেছি 'কাব্য',
সমতলে ব'সে আমরা লিখেছি 'কাব্য',
জলের
গভীরে মশালের লাল আগুনে
পুড়ছে কবিতা,পুড়ছে নদীর নাব্য।।
পুড়ছে কবিতা,পুড়ছে নদীর নাব্য।।
কবিতা / ভাল থাকা / অর্পিতা ভট্টাচার্য ..
ভালো
থাকা যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিলে,
"
ভালো থেকো "।
সেই থেকে আমি ভালো আছি।
হাসতে হাসতে আমি ভালো থাকি।
কাঁদতে কাঁদতে আমি ভালো থাকি।
বিরহ যন্ত্রনায় ছটপট করতে করতে আমি ভালো থাকি।
অপমানের
আগুনে জ্বলতে জ্বলতেও আমি ভালো থাকি।
ভালো
থাকার জন্যই আমি ভালো থাকি।
আমি জানি
আমি ভালো আছি।
ভালো
থাকাটা আমার অভ্যেস হয়ে গেছে।
অনেক বছর পরে তোমার সাথে দেখা হলো।
তুমি জিজ্ঞেস করলে " কেমন আছো "?
আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এলো।
একটা
দলা পাকানো কষ্ট আমার গলা চেপে ধরলো।
" ভালো আছি " বলতে আমার এতো যন্ত্রনা কেন
হচ্ছে ? কেন ?
এরকম
হওয়ার তো কথা ছিলো না।
আমি তো ভালোই ছিলাম, ভালো আছি, ভালোই থাকবো।
তবে " ভালো আছি " বলতে কেন এই কষ্ট ?
তবে কি এতো ভালো থাকার আরেক নাম "কষ্ট
"?
কবিতা / অগন্তব্য সুখ/ অজেয় বিক্রম শিবু
কষ্টের দলাদলিতে অবাধ্য সময়ের কাছে হেরে যায়
সুখসময়
আজকাল সুখ বার্তারা ডুব দিয়েছে যন্ত্রণাগ্রস্ত হয়ে।
সুখসময়
আজকাল সুখ বার্তারা ডুব দিয়েছে যন্ত্রণাগ্রস্ত হয়ে।
জানো, মাঝরাতে যখন ঘুমাতে যাই চোখ দুটিকে
এক করে
ঠিক তখন ঘনকালো অন্ধকারে সুখগুলো এলোপাতাড়ি
চলতে থাকে অগন্তব্যে।
এক করে
ঠিক তখন ঘনকালো অন্ধকারে সুখগুলো এলোপাতাড়ি
চলতে থাকে অগন্তব্যে।
বুকের ভেতরে থমকে দাঁড়ায় তুমি বিষয়ক আশ্চর্য
যন্ত্রণারা!
যন্ত্রণারা!
বারবার আমাকে তাড়া করে আবেগ; ভীতরে কষ্টক্ষরণ।
শুধু অবাক সাক্ষী থেকে যায় মাঝরাতে অন্ধকার ভেদ করে আসা আলো গুলো।
অনু কল্পগল্প / আদর্শ বনীকরণ / অরুণ চট্টোপাধ্যায়
এক লপ্তে বিশাল মাপের একটা জমি পেয়ে গেল রথীন। দেড়শ
বছর আগের একটা পোড়ো জমিদার বাড়ি। এখন বাড়িটা আর আশপাশের জমিদারি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে
আর তেনারা মানে, লোকে বলে ভূতেরা তাদের খাশ দখলে নিয়েছে।
ভূতেদের কাছ থেকে জমি পাওয়া সহজ কাজ নয়। অনেক কসরত করে এক ভৌতিক উত্তর পুরুষের হাত থেকে
জমিটা ম্যানেজ করেছে সে।
হোক না আম, জাম, জামরুল, অশ্বত্থ, বট, শাল পিয়ালের জঙ্গল।
প্রমোটারি বিজনেসে জমিই হল আসল মূলধন। টাকা ব্যাংক থেকে লোন চাইলেই পাওয়া যায়। কিন্তু
জমি? তাছাড়া ভূতের জমি বলে খুব সস্তা। জলের না হলেও একেবারে ভুতের দরে। কী হবে
এখানে জমি রেখে? আর মাথায় ভূত না চাপলে কি কেউ এখানে ফ্লাট করার কথা ভাবে?
কিন্তু এমন জঙ্গলে ফ্ল্যাট বাড়ি কি করলে সেগুলো কিনবেই বা কে? সবাই
যখন ভেবে আকুল হচ্ছে তখন রথীন বলেছে, দেখবে না এখানে একেবারে ওয়ান্ডার ল্যান্ড
বানিয়ে ছাড়ব। ফ্ল্যাট কেনার জন্যে বিশাল লাইন পড়বে। দশগুণ
দামে বিকোবে সেগুলো।
সরকারী আধিকারিক কিছুতেই অনুমতি দেবে না। বলেন,
জঙ্গল ধ্বংস করলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। পরিবেশ আইনে দেওয়া যাবে না।
--কিছু ধ্বংস হবে না স্যার। আমি আবার সব এনে দেব। দেখবেন পরিবেশকে একেবারে হাজির
করে এনে দেব মাথার ওপর। মাথায় করে রাখব দেখে নেবেন স্যার।
এই নেতিবাচক বিষয়টাও ইতিবাচক হয়ে গেল। কোন মন্ত্রে আর কোন ফুলে
রথীন পুজো করেছিল একমাত্র সেই জানে। ইষ্টনাম আবার মনে মনে না জপলে কাজ দেয় না। তাই
বাইরের অন্য কেউ শুনতে পেল না।
ফ্ল্যাট হল। রাস্তা হল, লন, পোর্টিকো, শপিং মল, কী না ছিল সেই
কমপ্লেক্সে। সবাই একেবারে তাক লেগে গেল। কে
বলবে এখানে একটা জঙ্গল ছিল কিছুদিন আগেও?
ফ্ল্যাট আগে থেকে বুকিং হয় নি। রথীন বলেছিল, আগে দেখবেন তারপর বুকিং করবেন।
কিন্তু কমপাউন্ডে ঢোকার আগেই কমপ্লেক্স দেখে তো সবার চোখ চড়কগাছ হয়ে
আকাশে চড়ল। সেই সঙ্গে চড়ল ফ্ল্যাটের দামও। পরিচিত
মহল খুশি হয়ে বলল, দেখলে রথীনের ব্যবসা বুদ্ধি? এ ছেলের হবে।
মন্ত্রী, সান্ত্রী, সাংবাদিক সবাই দেখতে এল। এই
চমৎকারিত্বের কথা ফলাও করে লিখতে হবে কাগজের পাতায়। দেখাতে হবে টিভির পর্দায়।
খাতিরে সন্তুষ্ট হয়েও কিছু সাংবাদিক বেয়াড়া প্রশ্ন তুলল, কিন্তু
পরিবেশের অনেক ক্ষতি হল রথীনবাবু। এ আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। হাজার
হাজার গাছ কাটা পড়ল। কত অক্সিজেন কমল। কত কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাড়ল। কত
জীবজন্তু মরল। ইকো সিস্টেম ঘা খেল। কত পাখি উড়ে গেল।
শ্রুতিনান্দনিকতা ব্যহত হল---
বাকিটা আর বলতে দিল না রথীন। শুধু বলল, সঙ্গে আসুন।
লিফটে চড়ে দশতলা ফ্ল্যাটের মাথায়। সবাই যে বিস্ময় কী ভাবে
প্রকাশ করবে ভেবে পাচ্ছে না। বিশাল একটা বন। গহন অরণ্য। পাখি
কিচকিচ করছে। পাহাড়ের মাথা ঝিকমিক করছে। ঝরণা
কলকল করছে। এমন কী বাঘ ভালুক, শেয়াল, বন বেড়াল, বেঁজি, ময়াল কী
নেই। আর সব জীবন্ত।
কে বলে সিন্থেটিকে প্রাণ নেই? বিজ্ঞান আছে তবে কী করতে?
অনু গল্প / আমি ভয় করবনা ভয় করবনা' / উৎসব দত্ত
'রোববার সকালে বারান্দায় বসে আছি। পাশের বাড়ির প্রশান্ত জেঠুর
গলার আওয়াজ ভেসে আসছে। পাশাপাশি বাড়ি। প্রায় এবাড়ি ওবাড়ির মতো। কথা বললে সব শোনা যায়।
জেঠুকে মনে হল খুব উত্তেজিত হয়ে ফোন করছেন কাউকে। বোধহয় শালা বাবু হবেন জেঠুর জিগরি
দোস্ত। 'এই ভাবে আর চলতে পারেনা। আমার পক্ষে আর মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যা বলেবে তাই
করতে হবে নাকি? আমারও একটা মতামত আছে। তোমার দিদির সব কথা আমি আর মানবনা ভাই। এইভাবে
আর চলতে পারেনা। কি ভেবেছে কি? আমার বাড়ি এবার থেকে আমার কথা মতো চলবে।' হঠাৎ ফোন বন্ধ
হতে কৌতহল বশত জানলা দিয়ে উঁকি মারলাম। দেখি বাজারের ব্যাগ হাতে জেঠীর আগমন। গর্জন
শুরু হতে বুঝলাম সকালের বাজার হয়নি তখনও - 'সারাদিন ফোনে বকবক করলে হবে ? বলি বেলা
দশটা বাজে। বাজারটা কি বাড়ি এসে দিয়ে যাবে?' জেঠীর কথা শেষ হতে না হতেই জেঠু প্রায়
পরিমড়ি করে জেঠীর হাত থেকে ব্যাগটা ছোঁ মেরে নিয়ে বাজারের দিকে দিলেন এক ছুট।
অনু গল্প / হঠাৎ / সুজয় চক্রবর্তী
বাড়ির পাশের মাঠে একটা বাচ্চা মেয়ে খেলছে। নিজে নিজেই। বয়স তিন কি চার।
ওর নাম পামেলা। অফিস যাওয়ার সময় এদৃশ্য রোজ দেখে অনিন্দ্য। নতুন চাকরি। বাড়ি
থেকে বেরোয় কাটায় কাটায়। অফিস ফেরতও সেই এক ছবি। মিষ্টি একটা মেয়ে। খালি গা। সারা পায়ে
ধুলো।
মাঝেমাঝে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে বাচ্চাটার মা। কখনও চোখাচোখি হয়। কখনও নি:শব্দে
বেরিয়ে যায় অনিন্দ্য। আসলে এ পাড়ায় সে নতুন।
আজ যাওয়ার সময় দেখলো বাচ্চা মেয়েটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। থেমে গেল
সে।
---- কি হয়েছে তোর, কাঁদছিস কেন?
---- মা মেরেছে।
---- নিশ্চয় দুষ্টুমি করেছিস!
---- না, আমি কিছু করিনি...
---- আচ্ছা, দাঁড়া তোর মা'কে বকে দিচ্ছি।
নিচু হয়ে ওর চোখদুটো মুছে দিল অনিন্দ্য।
---- কি হয়েছে তোর, কাঁদছিস কেন?
---- মা মেরেছে।
---- নিশ্চয় দুষ্টুমি করেছিস!
---- না, আমি কিছু করিনি...
---- আচ্ছা, দাঁড়া তোর মা'কে বকে দিচ্ছি।
নিচু হয়ে ওর চোখদুটো মুছে দিল অনিন্দ্য।
খেয়াল করেনি সে। সামান্য তফাতেই দাঁড়িয়ে শিউলি। বাচ্চাটার মা। সব শুনেছে!
অনিন্দ্য দেখলো লজ্জামাখা মুখটা। বেশ মোহময়ী।
বকা তো দূর অস্ত। কোনও কথাই বলতে পারলো না অনিন্দ্য।
বিয়ের বছর খানেকের মাথায় বাইক অ্যাক্সিডেন্ট হল তরিতের। চিকিৎসা চললো
ছ'মাস। সরকারি হাসপাতালে। প্রথম দিকে কিছুটা ভালোর দিকে ছিল। শেষে কিনা ভুল চিকিৎসায়
মারা গেল! শিউলির পেটে তখন পামেলা। সেই থেকে বাপের বাড়ি।
আসলে গীতা দে'র মতো যার শাশুড়ি কপালে, তার সংসার জীবনে তো অনেক কষ্ট!
শিউলিও ঝড়ে পড়লো অকালে; মা-বাবার সংসারে।
অনেক অনেক দিন, তাকে কেউ বকেনি। শুধু সান্ত্বনা দিয়ে গেছে সবাই।
আজ হঠাৎ শিউলির মনে হল এবার তাকে কেউ বকুক।
আজ হঠাৎ শিউলির মনে হল এবার তাকে কেউ বকুক।
একটি ছোট গল্প / পিকুর স্বপ্ন /নারায়ণ রায়।
ছোটবেলায়
পিকুরা ছিল বেশ গরীব। সাতজনের সংসার বাবার সামান্য বেতনের উপর নির্ভরশীল। সেই সাত
বছরের পিকু বাবার সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে দেখত, কি সুন্দর ছোট্ট শহর ! রাস্তার দু'ধারে
ছোট ছোট দোকানগুলি কত রকমের রঙ্গীন পসরায় সাজানো। কাচের বয়ামে থরে থরে রাখা সাধারন
গুলি লজেন্স, লেবু লজেন্স থেকে শুরু করে রঙ্গীন কাগজে মোড়া চকোলেট। পিকুর খুব
ইচ্ছে হ'ত অমন সোনালী রাংতায় মোড়া চকোলেট একটা খেয়ে দেখতে, ওগুলো নিশ্চই খেতে খুবই
সুস্বাদু হবে।
সেই
সময়ে একটা ভালো চকলেটের দাম বড়জোর আট আনা, কিন্তু চাইলে বাবা বলতেন ওসব খেতে নেই।
খেলে পেটের অসুখ হয়, দাঁত পচে যায় ইত্যাদি। পিকু অবাক হয়ে ভাবতো যে জিনিস খেলে
পেটের অসুখ হয় কিম্বা দাঁত পচে যায়, সে জিনিস দোকানদাররা বিক্রি করে কেন? আবার ঐ
দোকান থেকেই তো বাবা তেল মশলা ডাল কেনে? সেগুলো খেয়ে তো আমাদের পেটের অসুখ করে না
কিম্বা দাঁত পচেও যায় না? আর এই না পাওয়া থেকে সেই সাত বছর বয়সে শিশু পিকুর মনে
একটা জেদ চেপে গিয়েছিল। একদিন পিকু মনে মনে ঠিক করল, পড়াশোনা করে চাকরি পেলে
জীবনের প্রথম মাসের বেতনের পুরো টাকাটা দিয়ে প্রচুর চকোলেট কিনবে আর সে একা একা সব
খাবে। বাবা চাইলে একটাও দেবে না। এর পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। দিদিদের
বিয়ে হয়ে গেছে। ভাইরাও সবাই কিছু না কিছু উপার্জন করছে।
স্কুল
কলেজের পড়া শোনা শেষ করে গ্রামের ভোদাই পিকুও একদিন কলকাতায় একটা চাকরি পেল।
কিন্তু কি আশ্চর্য? সে আজও ভোলেনি সেই চকোলেটের কথা। শিশু পিকু বুঝতো না যে এক
মাসের বেতনে এক বস্তা চকোলেট হয়, অতো চকোলেট খাওয়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তবে প্রথম
মাসের বেতন পেয়ে ২৪ বছরের পিকু ঠিক করল অন্তত আজ একটা খুব ভাল চকোলেট খেয়ে জীবনের
প্রথম বেতন পাওয়ার দিনটি সেলিব্রেট করবে। যেমন কথা তেমনই কাজ। জীবনের প্রথম মাসের
বেতন পাওয়ার উন্মাদনা আর তার সঙ্গে সন্ধ্যে ছ'টার অফিসপাড়ার কলকাতার ফুটপাথের ভীড়।
ধর্মতলার একটা ফুটপাথের ধারের একটা ছোট্ট দোকান থেকে একটা বেশ ভাল মিল্কবার কিনে
তার মোড়কটি ছিঁড়ে সবে মুখে এক কামড় দিয়েছে এমন সময় একজন ব্যক্তির কনুই-এর ধাক্কায়
মিল্কবারটি ছিটকে গিয়ে পড়ল একেবারে ফুটপাথের একপাশে। আর গ্রামের ভোদাই পিকু বোকার
মত তাকিয়ে দেখল যে একেই বলে কলকাতা শহর !! যার হাতের ধাক্কায় ওর জীবনের এত বড়
স্বপ্নটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল সে দেখেও না দেখার ভান করে দৌড়ে একটা চলন্ত
বাসে উঠে পড়ল।
পিকু
এক দৃষ্টিতে আধ খোলা আধ কামড়ানো মিল্কবারটির দিকে তাকিয়ে যখন কি করবে ভেবে উঠতে
পারছে না ঠিক তখনই একটা বছর সাতের অত্যন্ত জীর্ন চেহারার মলিন বসনের ছেলে কোথা
থেকে দৌড়ে এসে মিল্কবারটি হাতে তুলে নিয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলো।
তারপর মিল্কবারটি সমেত হাতটা তুলে পিকুকে ফেরত দিতে চাইল। পিকু ওর হাতটা ধরে টানতে
টানতে ফুট পাথের এক পাশে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করালো। ছেলেটি ভয় পেয়ে ভ্যাঁ করে কাঁদতে
শুরু করল। ঠিক এই সময়ে ছেলেটির চেয়ে বছর খানেকের ছোট ওই রকমই জীর্ন চেহারার মলিন
বসনের একটি মেয়েও কোথা থেকে দৌড়ে এসে ছেলেটির হাত থেকে মিল্কবারটি কেড়ে নেওয়ার
জন্য কান্না-কাটি শুরু করলো। ওদের নিজেদের মধ্যে কান্না-জড়ানো কথা থেকে পিকু বুঝতে
পারলো মেয়েটি ওই ছেলেটিরই বোন। তখন সে ছেলেটির হাত থেকে মিল্কবারটি নিয়ে পকেটে
রেখে দিল এবং পাশের দোকান থেকে ঐ একই রকম আরও দুটি মিল্কবার কিনে মোড়কটা একটু করে
খুলে ওদের দুজনের হাতে দিয়ে পরম আদরে ওদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল, “তোরা
দুজনে এই চকোলেট দুটো পুরোটাই এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবি আর বলবি কেমন খেতে? আমি
তোদের এই খাওয়া দেখব।”
বাচ্চা
দুটি কেমন যেন ঘাবড়ে গেল। রাস্তায় বাবুদের কাছে কিছু চাইলে তারা তো বকা ঝকা করে
এমনকি মারধোরও করে কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন বাবু এই ভাবে দামী চকোলেট কিনে দিয়ে আদর
করে বলেনি “তোরা খা আর আমি তোদের খাওয়া দেখব।” বাচ্চাদুটির চোখে জল। কিন্তু যে
মুহুর্তে তারা চকোলেটে কামড় দিল এক স্বর্গীয় আনন্দে ভরে গেল তাদের মুখমন্ডল। আর
ভাইবোন পরস্পরকে উদ্দেশ্য করে বলল, “কি সুন্দর খেতে তাই না ? ইস কি মিষ্টি।” তাদের
খাওয়া যখন প্রায় শেষ সেই সময়ে একজন অতি শীর্ন দেহের মহিলা হন্ত দন্ত হয়ে দৌড়ে এসে
চিৎকার করে বলতে লাগলো, “আরে পিকু তুই বোনকে নিয়ে এতদুর চলে এসেছিস, আর আমি তোদের
সেই কখন থেকে খুঁজে চলেছি।”
পিকু
ভদ্রমহিলাটিকে জিজ্ঞেস করল, “তোমার ছেলের নাম কি বললে?”
মহিলাটি বলল, “আজ্ঞে, আমার ছেলে নাম পিকু।”
পিকু আরও জিজ্ঞেস করল, “ওর বয়স কত?”
মহিলাটি বলল, “আজ্ঞে সাত বছর।”
বা্চচাদুটির মায়ের উপস্থিতিতে পরম নিশ্চিন্ত হয়ে পিকু আস্তে আস্তে তার গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো। কিছুটা গিয়ে একটা ডাস্ট-বীন দেখতে পেয়ে সেই পড়ে যাওয়া মিল্কবারটি পকেট থেকে বের করে ডাস্ট-বীনে ছুড়ে ফেলে দিল।।
মহিলাটি বলল, “আজ্ঞে, আমার ছেলে নাম পিকু।”
পিকু আরও জিজ্ঞেস করল, “ওর বয়স কত?”
মহিলাটি বলল, “আজ্ঞে সাত বছর।”
বা্চচাদুটির মায়ের উপস্থিতিতে পরম নিশ্চিন্ত হয়ে পিকু আস্তে আস্তে তার গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো। কিছুটা গিয়ে একটা ডাস্ট-বীন দেখতে পেয়ে সেই পড়ে যাওয়া মিল্কবারটি পকেট থেকে বের করে ডাস্ট-বীনে ছুড়ে ফেলে দিল।।
YOU NEED TO TRICK YOUR MIND INTO REMEMBERING / DURBA MITRA
YOU NEED TO TRICK YOUR
MIND INTO REMEMBERING
TROUBLESHOOTING YOUR
FORGETFULNESS
Ø AVOIDING FORGETTING
Ø GETTING IT DOWN COLD
Ø ORGANIZING YOUR MEMORY
Ø GETTING THE MEANING OF YOUR MEMORY
TAKING A POWERHOUSE
MEMORY TO WORK
q REMEMBERING TO ACE THE INTERVIEW
q DEALING WITH CO-WORKERS AND CUSTOMERS
q FREEING UP YOUR MEMORY DURING JOB STRESS
q RETAINING YOUR MEMORY SKILLS AS YOU FACE THE NEW TECHNOLOGIES
q RELISHING A CHALLENGE TO VITALIZE YOUR MEMORY SKILLS
KEEPING YOUR MEMORY
INTACT IN A HIGH-SPEED WORLD
• BEING PRESENT FOR MEMORIES
• AVOIDING MULTITASKING
• RELYING ON AIDS
SEVEN WAYS TO ENHANCE
YOUR TOTAL RECALL
• Convert words to pictures. ...
• Use memory spots. ...
• Stacking. ...
• Use rhymes. ...
• Use mnemonic devices. ...
• Work specifically on names. ...
• Use pictorial storage to remember lists of
items
There’s something
about walking into another room or passing through a doorway that resets our
short-term memory and makes us forget what we went there for. If you visualize your purpose before you leave the current room, you’ll increase your chances of remembering
what you want. It also applies to the digital world: Before you open up a new
browser tab and forget why you opened it, picture your purpose. As a former
can’t-find-my-glasses person, I’ve been using a similar technique successfully:
When putting my glasses down, I now focus sharply on what the table top looks
like and the things on it so I’ll remember where I put it. Often, we have to be
proactive when it comes to remembering things.
We can only store a
limited number of things in our short-term memory—about four to seven different
items, according to most estimates. The chunking technique can help us get past this limitation: Group several items
into a larger whole. This is one of the techniques I learned when training for the USA Memory Championship to try to remember ridiculously long sequences
of numbers and pages of poems in a few minutes.
We forget names and
numbers so easily, but lyrics to our favourite songs or nursery rhymes from
childhood? They tend to stick. Music helps us memorize things through alliteration and rhythm. If you want to learn a foreign language, try
training with music videos with subtitles or even Karaoke. Lyrics Training offers video resources but there’s also,
of course, YouTube. Singing in general can help boost your brain.
Even without the music
background, you can use rhyme and rhythm to remember things like shopping lists
or lists or all the US capitals. You peg items to things that rhyme. E.g., 1 is a gun (visualize the first item being fired from a
gun), 2 is a shoe, visualize the second item inside a shoe, and so on.
This is another
technique used by memory champs: palace where you visualize the
things you want to remember and associate them with a
place you remember vividly.
If your home is your mental palace, for example, you can remember the order of
your grocery list by picturing a giant jug of milk greeting you at the front
door, slices of bread lining your hallway, and so on as you walk through it.
Of all the annoying
times our memory fails us, forgetting someone’s name might be the worst. It’s
just that our basic working memory isn’t that great. However, if we try to make connections between the abstract name and the person, we’ll be more
likely to remember the name. It takes a little work: Try asking a person you just met a question to give you time to repeat his or her name in your head, introduce the person to someone else (forces you to repeat their name), make better eye contact, repeat the person’s name at the end of the conversation, and create a visual hook for their name using their face.
We have both verbal
and visual memory. Chances are your visual memory is much stronger, as the
video above from Memorize the Periodic Table might demonstrate for you. Mental
pictures are more memorable—and the grosser, more absurd, and more animated you
make the images, the better. It helps to build a story and try to tap into all
your senses as well.
Unfortunately, our
memory deteriorates as we get older. Taking care of our basic health, though, can go a long way towards optimizing
our health. That means reducing the stress in your life, exercising and staying
fit, and keeping your brain healthy too by learning new skills. Here are
our top 10 ways to train and exercise your brain.
Better memory comes
down to three things: motivation, observation, and mechanics. MOM. Most of us forget
people’s names because we aren’t really paying attention or, perhaps, don’t care.
For the mechanics part, find a trick that works for you (like one of the above)
and keep using it. As for practice: A couple of minutes at night reviewing the details and names from the day can
strengthen your memory. Take notes as you read. Start relying on your own memory rather than technology.
কবিতা / মনের মানুষ / সোমা দে
এই, মেয়েটা খুঁজিস কাকে?
সোহাগরাঙা স্বপ্ন চাঁদে,
আসমানী রঙ পাখনা বেয়ে
মরিস প্রেমের ফাঁদে!
ছুট, ছুট, ছুট, গোল্লাছুট-
দু'পায়ে আজ দামাল সুর;
শ্যামলা মেয়ের মনটি লুঠ,
ব্যাথার স্রোতে শুধুই টাপুর, টুপুর।
আগুন,আগুন, ফাগুন রঙ,
লাল পলাশের মাতাল ধ্বনি-
আবার নতুন সাজছে সঙ;
শরীর জুড়ে ঘূর্ণি মহুলবনী!
থামরে মেয়ে, বাঁধরে শেকল,
বৃথাই খুঁজিস তাকে!
মরীচিকার অতল তল,
লাগাম দে রে মনকে!
খুঁজে বেড়াস মনের মানুষ,
বুদবুদে যায় ভেসে-
একলা সানাই বাজছে বেহুঁশ;
'ভালোবাসা'র দেশে।
কবিতা / দিকভ্রান্ত / প্রজ্ঞা পারমিতা ভাওয়াল
১
নিশ্ছিদ্র সৌকর্ষে ভাবনার সাগরে রাখি
পাছে পারিজাত যায় হারিয়ে ।
নীল নীলিমায় জোছনার ওড়না পরাই তারাদের ...
আগুনে নয় , দহনে নয় ,
বিরহে ,ভালোবেসে
ডুবুরি হয়ে মুক্তো করে রাখি যতনে।
২
ভাবনার কোলাজ
দেয়ালে লটকানো ;
তুমি আসো যদি
লাল দাগ কাটি।
বিবাগী হিয়া
দীর্ঘশ্বাসে ভরপুর।
৩
আহত হৃদয়
লোহিতকণিকাদের সমাধি,
মন তবুও মশাল জ্বালায় ।
দিকভ্রান্ত।
যেন সুগন্ধী ধুপ জ্বলছে
ধোঁয়া ছড়ায় রঙ আর সহস্র রঙের কথামালা।
৪
অস্তিত্বের শেকড়ে টান;
ফিরে পাবার দারুণ ক্ষুধা
পথটা বাতলে দিলেই সাঁ করে চলে যাই।
অঙ্গীকার বদ্ধ সোহাগে
ছলনার গোপন প্রলেপ।
তোমায় খুঁজতে গিয়ে পথ হারাই।
কবিতা / রেলিং / জয়ন্ত
ছাদের
কার্ণিশ ঘেঁষে রোজ খেলে মরে,
একাকী
দেয়ালে খেয়ালে বা অখেয়ালে...
হেসে
কুটে একাকার।
মাথা নেড়ে নেড়ে অবাধ্য বায়না,
রেলিং
মেটাবে কবে তার আবদার?
ইটে জলে মিশে মাথা তুলে বাঁচে,
বুকে
সবুজের প্রচ্ছদ!
রোদে তাপে তেতে নিত্য সংঘাতে,
অধিকার
বোধে খোঁজে অস্তিত্বের পরিচয়!
হাজারের
ভিড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে গেল যারা বহুদূর,
অপদার্থেরা বলে গলা উঁচু করে,
"আগাছায়
ভরা জঞ্জাল যত,
এ প্রাসাদ থেকে কর নির্মুল।"
হতভাগা হায়!!
ছোট চারাগাছ
যত্নে বাড়েনি মোটেই,
তবু কেন ক্ষোভ, এত লাল চোখ,
কি দিয়েছ
বা তুমি তাকে?
বাঁচার লড়াই বাঁচিয়ে রেখেছে স্নেহহীন সংসারে,
পাপের
ঝুলি ভরেনি কি আজও,
মরতেই হবে তাকে!!
আগাছার
গ্লানি, না পাক হালে পানি,
উপড়ে
ফেলেছে তাকে।
Subscribe to:
Posts (Atom)
সম্পাদকীয় ও চিত্রাঙ্কন-গৌতম সেন ... সম্পাদনা ও কারিগরী সহায়তা - নূপুর বড়ুয়া
সম্পাদকীয় ও চিত্রাঙ্কন-গৌতম সেন ... সম্পাদনা ও কারিগরী সহায়তা - নূপুর বড়ুয়া

-
ধর্ম আমায় ধারণ করেছে আগুন করেছি বর্ম ... দেখতে পাচ্ছ এই দাবানলে জ্বলছে অস্থি , চর্ম ? দেখতে পাচ্ছ উড়ছে ফিনিক্স , চাঁ...
-
শত চেষ্টা করে যখন একটা কাঠও জোগাড় করা গেল না , তখন নদীর চরে গর্ত খুঁড়ে অভাগীকে শোয়ানো হল । যে খড়ের আঁটি জ্বেলে কাঙালি মায়ের মুখে আগুন...
-
বিষাদের মেঘ ছেয়েছে আকাশে বৃষ্টি বুঝি আসন্ন— বাতাসের চোখ ছল ছল ভাসে প্রতীক্ষা কার জন্য? ওগো মেয়ে তুমি কার কথা ভাবো, সে কি ...
-
শুকনো বকুল চললি কোথায় ? গ্রহণলাগা দুপুরবেলা লাল মাটি পথ একলা চলা - রুদ্রপলাশ মোড়ের মাথায় ? কি বললি ? আজ বিকেলে মোরগ লড়াই ...
-
ওকি বৃষ্টির শব্দ ? নাকি পায়ের থেকে নূপুর খুলে হাতে নিয়ে তোর দৌড়ে আসার শব্দ ; যদি তাই হয় তবে এখন কেন ? এখন তো অনেক রাত , ব...
-
ছাদের কার্ণিশ ঘেঁষে রোজ খেলে মরে, একাকী দেয়ালে খেয়ালে বা অখেয়ালে... হেসে কুটে একাকার। মাথা নেড়ে নেড়ে অবাধ...
-
জীবনের পথ দিয়ে চলতে চলতে দিয়ার ক্লান্ত অবসন্ন মন্ ঘরের জানলায় চোখ রেখে আকাশটাকে দেখতে চাইত । কিন্তু তার আকাশটা হারিয়ে যেত , অভিমানে ...
-
বসন্তে যেমন ফুল ফোটে তেমন ফুল ঝরে। কুদরতের নিয়মে যত ফুল ফোটে ঠিক তত ফুলই ঝরে। আল্লা তালার হিসেব চুলচেরা। শুধু কি ঝরে ? ফুল কাঁদে , ফ...
-
হাইবারনেশানে যাই যখন তখন তার অবগাহনে ডুবে যেতে। ফিরে যাই সেই মাতোয়ারা দিনগুলোতে জীবনের জরদ্গভ প্রাচীর ডিঙিয়ে অদ্ভুত এক লুকোচুর...