বাড়ির পাশের মাঠে একটা বাচ্চা মেয়ে খেলছে। নিজে নিজেই। বয়স তিন কি চার।
ওর নাম পামেলা। অফিস যাওয়ার সময় এদৃশ্য রোজ দেখে অনিন্দ্য। নতুন চাকরি। বাড়ি
থেকে বেরোয় কাটায় কাটায়। অফিস ফেরতও সেই এক ছবি। মিষ্টি একটা মেয়ে। খালি গা। সারা পায়ে
ধুলো।
মাঝেমাঝে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে বাচ্চাটার মা। কখনও চোখাচোখি হয়। কখনও নি:শব্দে
বেরিয়ে যায় অনিন্দ্য। আসলে এ পাড়ায় সে নতুন।
আজ যাওয়ার সময় দেখলো বাচ্চা মেয়েটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। থেমে গেল
সে।
---- কি হয়েছে তোর, কাঁদছিস কেন?
---- মা মেরেছে।
---- নিশ্চয় দুষ্টুমি করেছিস!
---- না, আমি কিছু করিনি...
---- আচ্ছা, দাঁড়া তোর মা'কে বকে দিচ্ছি।
নিচু হয়ে ওর চোখদুটো মুছে দিল অনিন্দ্য।
---- কি হয়েছে তোর, কাঁদছিস কেন?
---- মা মেরেছে।
---- নিশ্চয় দুষ্টুমি করেছিস!
---- না, আমি কিছু করিনি...
---- আচ্ছা, দাঁড়া তোর মা'কে বকে দিচ্ছি।
নিচু হয়ে ওর চোখদুটো মুছে দিল অনিন্দ্য।
খেয়াল করেনি সে। সামান্য তফাতেই দাঁড়িয়ে শিউলি। বাচ্চাটার মা। সব শুনেছে!
অনিন্দ্য দেখলো লজ্জামাখা মুখটা। বেশ মোহময়ী।
বকা তো দূর অস্ত। কোনও কথাই বলতে পারলো না অনিন্দ্য।
বিয়ের বছর খানেকের মাথায় বাইক অ্যাক্সিডেন্ট হল তরিতের। চিকিৎসা চললো
ছ'মাস। সরকারি হাসপাতালে। প্রথম দিকে কিছুটা ভালোর দিকে ছিল। শেষে কিনা ভুল চিকিৎসায়
মারা গেল! শিউলির পেটে তখন পামেলা। সেই থেকে বাপের বাড়ি।
আসলে গীতা দে'র মতো যার শাশুড়ি কপালে, তার সংসার জীবনে তো অনেক কষ্ট!
শিউলিও ঝড়ে পড়লো অকালে; মা-বাবার সংসারে।
অনেক অনেক দিন, তাকে কেউ বকেনি। শুধু সান্ত্বনা দিয়ে গেছে সবাই।
আজ হঠাৎ শিউলির মনে হল এবার তাকে কেউ বকুক।
আজ হঠাৎ শিউলির মনে হল এবার তাকে কেউ বকুক।
আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল,
ReplyDelete