এর চেয়ে লিভ ইন সম্পর্ক ভালো ছিল। কোন
দায় দায়িত্ব বাঁধা ধরা নিয়ম ছিলনা অবাধ স্বাধীনতা। যেমন
খুসি থাকো। মাঝখান
থেকে হল কি একদিন হঠাৎ রিমা কে বিয়ে করে ফেলল ঋজু। বাড়িতে
আপত্তি ছিলনা। বেশ
ধুম ধাম করে বিয়ে হল।
কিন্তু বিয়ের প্রায় দুবছর যেতে না যেতেই গোল বাঁধল। যে
রিমাকে ঋজু ভালোবাসত সেই রিমা আস্তে আস্তে বদলে যেতে
থাকল। রিমা
বরাবরই একটু জেদি এবং পজেসিভ কিন্তু ভালোবাসায় কোনো খামতি ছিলনা। বিয়ের
এই দুবছরে ভালবাসা যেমন ছিল তেমনি হাতাহাতি মারামারি পর্যন্ত হয়েছে। ঝগড়াঝাঁটি
তো লেগেই থাকে। তাবলে
এরকম সম্পর্ক নিয়ে টানাটানি কোনোদিন হয়নি। ঈশিতার
ব্যাপারটা তো রিমা জানতোই। নতুন
করে কি আর হওয়ার আছে। ওদের
মধ্যে কোনোদিন বন্ধুত্ব ছিলনা, শত্রুতাও ছিলনা।
গাড়ি চালাতে চালাতে এই সব কথাই মাথার মধ্যে ঘুরপাক
খাচ্ছে ঋজুর। কাল
রাতে জম্পেশ মদ খেয়েছে। ঘোর
যেন এখনও কাটছেনা। দশটার
মধ্যে অফিস ঢুকতে হবে গাড়িটা বেশ জোরেই চালাচ্ছে। এক
একটা বাঁক এমন ভাবে টার্ন নিচ্ছে যেন এই বুঝি ধাক্কা খাবে। একসপ্তাহ
হতে চলল রিমা ওর বাবার বাড়িতে চলে গেছে। যথারীতি
ফোন ধরছেনা। এবার
একটা ব্যবস্থা করতে হয় কিন্তু ওর বাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়।
অফিসে ঢুকতেই নতুন মেয়েটা বলে গেলো 'স্যার
আজ বিকেলে মিটিং আছে আপনি মনে করিয়ে দিতে বলেছিলেন।' কথাটা
শুনেই যেন একটা ঘোর কাটল।এক্ষুনি কাজের জগতে
ঢুকে যেতে হবে। ব্যাগ
থেকে জলের বোতল আর মোবাইলটা বের করতেই রিমার মেসেজ 'ঠিক
বিকেল পাঁচটায় গাড়ি নিয়ে চলে আসিস,লং ড্রাইভে যাবো।'
bah.. sundar laglo seshta..
ReplyDeletebah.. sundar laglo seshta..
ReplyDeleteখুব মিষ্টি ছোট্ট একটা গল্প কিন্তু রেশ থেকে যায়...।।
ReplyDelete