আমার ঘরের থেকে নগরের ধোঁয়া দেখা
যায়।
আমার ঘরের থেকে দেখা যায় বস্তির
ভিড়।
উদ্বাস্তুরা যত সীমানার কাঁটাতার
কেটে
দূর থেকে চেয়ে দেখে নগরের উচ্চ-প্রাচীর।
দ্বার-রক্ষীর চোখে রাত্রি অতীত
এঁকে যায়...
ছলাৎ ছলাৎ শব্দ ভেসে আসে ধানসিঁড়ি’টির।
মেয়েটা’কে মনে পড়ে ভাঙনের শীতল হাওয়ায়
মেয়েটাকে খেয়েছিলো
ব্যারাকের শ্বাপদের ভিড়।
রাত হলে টিমটিম লন্ঠনগুলি জ্বলে
ওঠে।
ঝিলের জলেতে কিলবিল করে বস্তির
ঘুম।
মৃত্যুরা ওঁত পেতে, ধুতুরা ফলের
বীষ ঠোঁটে,
কপালে’তে ধুম জ্বর, মাছি ওড়ে,
চোখে কুমকুম।
আমার ঘরের থেকে দেখা যায় সাতচল্লিশ,
যদিও আমার জন্ম আরো তিন দশকের
পর;
কাঁটাতারে ক্ষত-বিক্ষত
আজও আমার শরীর,
উদ্বাস্তুর ভিড়ে দ্বাররক্ষী খোঁজে তাঁর ঘর;
ভাঙনের পারে আমি খুঁজে চলি জন্মান্তর।
No comments:
Post a Comment