‘তিনশো নয়’ – ডাকটা আসতেই উঠে দাঁড়াতে হোলো।
দুই হাত জোড় ক’রে, একটু সামনের দিকে ঝুঁকে
বলতে হোলো ‘হুজুর! নাম রফিক মিয়া, পেশায় কুমোর,
বাস মাচান তলা”।
আমার বাঁ চোখের ফাঁকা লাল গর্ত্তে চোখ বুলিয়ে হুজুর
অর্ডার দিলেন, “ওকে একটা কালো চশমা কিনে দিও।
কাল মহালয়া। বড় সাহেব আসবেন। ”...
আজ সকাল থেকে ন্যাঙটো করে তল্লাসি চলেছে।
সাহেব আসতেই ডাক পড়ল ৩০৯...
“ওর চোখে চশমা কেন?”...
ওর বৌ চোখ আঁকার তুলি দিয়ে চোখটা গেলে দিয়েছে।
একবার আপাদমস্তক দেখে সাহেব বললেন – অপরাধ?
“আমি বৌটার পাছায় তিনবার লাথি মেরেছিলাম কারন
ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী ও তিনটে মরদের সাথে শুয়েছিলো।“
বছর সাতেক হোলো আমি জেলের ৩০৯ নম্বর কয়েদি।
মাঝেমাঝে মেয়েটার কথা মনে পড়ে।
শুনেছি এখন ওদের পাকা বাড়ী। মেয়েটার তিনটে বাবু।
গোটা চার বিদেশী কুকুর। আর বৌটার প্রোমোটার স্বামী।
আজ মহালয়া। আবার ন্যাংটো হ’তে হোলো।
সাহেব এলেন,কালো বুট নাচিয়ে বললেন – নাম কি?
আমি বললাম, “৩০৯ শুয়োরের বাচ্চা”।
No comments:
Post a Comment