শারদলক্ষ্মী / গৌতম সেন
বৃষ্টি তখনও থামেনি পুরোদস্তুর,
ভেজা মাঠ দেখা যায় ছাঁটবৃষ্টির ব্যালকনি থেকে
ভেজার মজা উপভোগে লাফাতে থাকে একা একটা শালিক।
মনে পড়ে গেল ভেজা উৎসবের আনন্দ সিঞ্চন।
কিন্তু কিন্তু ভাব, শুরুতে ভিজতে দেয় নি দ্বিধাহীন
তবু ভিজতে ভিজতে মনপিওনটা ডাক পাঠাল সেদিন -
‘ভিজবে নাকি? চলে এসো তবে আমার সাথে
এই ভিজে সপসপে মাঠে। এই ভিজে শালিকের কাছে।’
ঠিকানা কোথাও ছিল ভুল।
অপেক্ষা ক’রে ক’রে বৃষ্টি মিলিয়ে গেল,
মেঘছেঁড়া রোদে ভেজা পালক শুকিয়ে নিল শালিক
আর আমি ভিজে অপেক্ষাগুলো মাঠেতে বিছিয়ে দিলাম
ভিজে ঘাসে নরম মিঠে রোদে, হতাশার পাথর চাপা দিয়ে।
পরে একদিন জেনেছিলাম এই জলে ভেজা গল্পটা কিন্তু
বাঁক নিয়ে নদী হয়ে বয়ে চলেছিল খুশির মোহানা অভিমুখে।
এসেছিলে তুমি ফাঁকা মাঠে -
তখন বৃষ্টি উধাও, মাঠে ছিল একদল শুকনো শালিক,
আর ছিল শুকনো-প্রায় ফেলে আসা,
সে সকালের হতাশা চাদর, ভিজে হাওয়ায় লুটোপুটি খাওয়া।
হাওয়ার পাতায় পাতায় তুমি লিখে রেখে
খুশির সঠিক ঠিকানা, নদী হয়ে ভেসে গেলে
আর এক বৃষ্টির সাগর সঙ্গমে – নূপুরের নিক্কনে
আমন্ত্রনে বেজে ওঠা সে সুরের আবহে।
আমার যাত্রা আবার ঠিক পৌঁছে দেবে
সেই নিশানায় – যেখানে বর্ষা-বিদায় সঙ্গীত
আগমনী সুরে ডেকে আনে শারদলক্ষ্মী।
No comments:
Post a Comment