Monday, December 19, 2016

ছোট গল্প......অরুণ চট্টোপাধ্যায়

ফুলটুসির অন্তর্ধান
-     অরুণ চট্টোপাধ্যায়
নিজের চেয়ারে বসে ছবিটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলেন অলকবাবু। মেয়েটির বয়েস লিখিয়েছে আঠার বছর দুমাস। কিন্তু ছবি দেখে তাঁর মনে হচ্ছে একটু কম হলেও হতে পারে। আবার ভাবছেন মেয়েটির বাবা মা মেয়ের ভুল বয়েস দিতে যাবেই বা কেন। যত অশিক্ষিত হোক না কেন নিজের ছেলেমেয়ের বয়েসে কেউ ভুল করে বলে তাঁর মনে হয় না।
খুব চাপা রং। যদিও ছবিতে অতটা বোঝা যায় না। চোখমুখ সাফা। একটু লম্বাটে ধরণের মুখ আর টিকালো নাক। চোখগুলো খুব আয়ত না হলেও মন্দ নয়। বিরাট সুন্দরী না হলেও কম আকর্ষণীয় নয়। এমন মেয়ে এই ভরা বয়েসে যে কোন একটা ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যেতেই পারে। বলে এমন কত ঘটছে হুদো হুদো। যৌবনের তাড়না তো আর কম নয়। আর গরীব বাবা বিয়ে দিতে পারছিল না বোধহয়।
মেয়েটির বাবা রিক্সা চালায়। বয়েস হয়ত গোটা চল্লিশ বিয়াল্লিশ কিন্তু ছিপছিপে গড়নের জন্যে পঁয়ত্রিশ ছত্রিশ লাগে। এসব ক্লাসের ছেলেরা বেশ একটু কম বয়েসেই বিয়ে করে। এদের শিক্ষাদীক্ষা তো নেই তাই জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্যে ভাল চাকরি বাকরির জন্যে অপেক্ষা করে না। মিউনিশিপ্যালিটির কি একটা স্কিম ছিল। সেই সূত্রে ব্যাংক থেকে লোন পেয়ে রিক্সোটা কিনেছে।
এসেই হুড়মুড় করে পায়ে পড়েছিল বড়বাবুর, আমার মেয়েটাকে বাঁচান সাহেব। এই একটা মাত্র মেয়ে আমার। কি জানি কি যে হয়ে গেল।
সাতদিন ধরে নিখোঁজ। আজ সাতদিন পরে থানায় এসেছে রিপোর্ট করতে। বেশ কিছু সময় ধরে তাকে এনতার গালমন্দ আর উপদেশ বর্ষণ করার পর অলকবাবু জানতে চাইলেন, মেয়ে তোমার পড়াশোনা করত না?
-এগার ক্লাসে পড়ত সাহেব। কিন্তু কি করব পড়ায় মাথা তো একেবারে ছিল না। রোজ ইস্কুল কামাই করত-
মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে অলকবাবু বললেন, তবে পড়াশোনার ভয়েই কোথাও পালিয়েছে। তোমরা পড়া করার জন্যে খুব চাপ দিতে তো তাই-
চুপ করে বেশ খনিকক্ষন একটু ভেবে নিল অক্ষয়। তারপর বলল, তা একটু দিতাম সাহেব। বলুন তো এ যুগে একটু পড়াশোনা না করলে চলে? বলেই আবার গলায় ঝোলানো তেল চিটচিটে গামছাটা দিয়ে দু চোখ মুছতে লাগল।
আজকাল মেয়ে পাচার, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি এসব এত হচ্ছে যে এই কেসগুলো নিয়ে রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে থানার বড়, মেজ, সেজ সব বাবুদের। ওপর থেকে দেদার ঠাসা চাপ। এসব কেস ফেলে রাখা তো দূরের কথা একটু ঢিলে দেওয়া চলবে না। তাছাড়া মিডিয়া আছে না? প্রিন্ট মিডিয়া, টেলি মিডিয়া সব যেন আগাছার মত বেড়ে উঠছে আজকাল। একটু ফাঁক পেয়েছে তো অমনি ঝাঁপিয়ে পড়বে একেবারে। তারপর আছে নানা মানবাধিকার সংগঠন, নারীস্বার্থ রক্ষা কমিটি, নানান এন-জি-ও এসব কত কিজবাব দিতে দিতে একেবারে জিভ বেরিয়ে যাবার উপক্রম।
তাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ছবিটা আবার পরীক্ষা করছিলেন। সব থেকে আশ্চর্য লাগছে নিখোঁজের সাতদিন পরে কেন ওরা থানায় এল রিপোর্ট করতে। ওর বাবা মা অবশ্য বলেছে যে এই সময় ধরে ওরা ভেবেছিল মেয়ে অভিমান করে চলে গেছে। দু’একদিনের মধ্যেই অভিমান চলে গেলে আবার ফিরে আসবে।  
মেয়েটি লেখাপড়ায় তেমন ভাল নয়। এমন মেয়ে আর কি করবে? তার পক্ষে কোনও প্রেমিক জোটানোর ইচ্ছে প্রবল হতেই পারে আর সেটা সে পেয়েছে। পালিয়ে গিয়েছে কোন ছেলের সঙ্গে। কিন্তু নিজের থানা তো বটেই আশপাশের কোনও থানাতেই অমন বয়েসের ছেলে হারানোর কোনও রিপোর্ট নেই।
তবে তো মুশকিল। হয় মেয়ে পাচারের দল আর নয় বাড়ির অত্যাচারে সুইসাইড করেছে মেয়েটি। কিন্তু এদিকে সুইসাইড বা দুর্ঘটনার কোনও খবরও নেই। খুব মুশকিলে পড়লেন অলকবাবু। এখন মেয়ে হারানোর কেস খুব সেনসিটিভ ইস্যু। এদিকে চিন্তায় মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে। তাকে নাকি সার্কেল ইনস্পেক্টর মাত্র তিনদিনের সময় দিয়েছেন। আর বলেছেন, এটা কিন্তু এস-পি সাহেবের স্পেশাল অর্ডার বুঝলেন তো?
ইতিমধ্যে ছবির নানা কপি করে সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফ্যক্স করেও চলে গেছে সে সব খবর ওপর তলায়। বহুদিন আগে তিনি যখন মাত্র সেজবাবু ছিলেন তখন তাঁর বড়বাবু বলেছিলেন, দেখ অলক, কাজ করছ কি করছ না সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু তুমি যে কাজ করার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করছ, এটা সকলকে দেখানোটাই হল আসল সাকসেস।
এখন মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেন সেই ওপর ওলার কথাটা। আর চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না একটুওকিন্তু এই কেসটায় চেষ্টা দেখানো শুধু নয়, তাঁর কৌতূহল হচ্ছে মেয়েটির ছবি দেখে। বুদ্দিদীপ্ত সেই ছবির মধ্যে যেন এমন কিছু আছে যা বলে দিচ্ছে মেয়েটি হারানোর সত্যের আড়ালে কিছু মিথ্যেও যেন লুকিয়ে আছে।  
কিন্তু মিথ্যেটা যে ঠিক কি আর কোথায় কিছুতেই ধরতে পারছেন না। একটা মেয়ে যদি স্বেচ্ছায় কারোর সঙ্গে পালিয়ে যায় তো তাকে ধরা সত্যি শক্ত। সে কথা বেশ কয়েকবার বলেছেনও মেয়েটির বাবা মাকে। কিন্তু তাঁকে তো চেষ্টা চালিয়েই যেতে হবে। আর যদি সত্যিই এরকম হয় যে মেয়েটির যদি কোনও ক্ষতি হয়েই যায় মানে খুব বা পাচার যে কোনও কিছু তো ওপর তলায় জবাবদিহি করতে করতে প্রাণ একেবারে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠবে।
কিন্তু পরের দিন এই জটিল রহস্যের সমাধান নিজেই হেঁটে হেঁটে হাজির হল থানায়। আর শুধু হাজিরই হল না, একেবারে সটান পায়ে এসে পড়ল তাঁর।
-আরে আরে কি ব্যাপার? পা ছাড় কে তুমি?
মেয়েটি পা ছাড়তেই চমকে গেলেন অলকবাবু। ছবিটা বেশ মনে ছিল তাঁর। তবু সন্দেহ পুরোপুরি দূর করার জন্যে আর একবার মেলে ধরলেন নিজের চোখের সামনে। না কোনও সন্দেহ নেই। সেই মেয়েটাই।
-আমাকে বাঁচান স্যর। আমাকে ওরা বলি দেবে।
বলি! চমকে উঠলেন দারোগা সাহেব। কোনও তান্ত্রিক আটকে রেখেছিল নাকি মেয়েটাকে? আজকাল তো আবার পড়েছে মন্ত্রতন্ত্রের যুগ। মানুষ খুব বিশ্বাস করতেও শুরু করেছে। হতে পারে কোনও তান্ত্রিকের কাছে হাতফাত দেখাতে গিয়েছিল এমন সময় সে নরবলি চড়াবার উপক্রম করে।

মা আর বাবার ফিসফিস কথা শুনে ফেলেছিল ফুলটুসি। হাড় হিম হয়ে গিয়েছিল তার। আর তো মাত্র একটা বছর তার পরেই তো মাধ্যমিক পাশ করে যাবে সে। তারপর হায়ার সেকেন্ডারি। জানে বাবার আর্থিক সামর্থের কথা। আর এখন যদি-
কেঁদে কেঁদে মা বাবার পা ধরে বলেছিল কিছুতেই সে এ কাজ করতে পারবে না। তাকে মারলেও না ধরলেও না।
-এত জেদ ভাল নয় মা। বাবা মায়ের কথার অমান্য করতে নেই। করলে তার জীবনে কখনও ভাল হয় না জেনো। হাতের লক্ষি পায়ে ঠেলতে নেই মা এ আমি বলে দিচ্ছি।
অগত্যা তাকে তো পালাতেই হয়। কিন্তু কার কাছে যাবে? হাতে তো পয়সা কড়িও তেমন নেই। ঝর্ণা কাকিমার কথা মনে পড়ল। কি সুন্দর কাকিমা। দেখতে সুন্দর নয় কিন্তু কি ভাল ব্যবহার। তার নিজের মেয়ের মতই ভালবাসে।
তার দাড়িতে বারবার চুমু খেয়ে বলত, কি সুন্দর মেয়ে রে তুই। কি শান্তশিষ্ট। ফুলটুসি না টুসটুসি। আমার যদি ছেলে থাকত তো ঘরের বৌ করে আনতাম তোকে।
খুব লজ্জা পেত ফুলটুসি। রাগও করত। এই তো মাত্র মাধ্যমিক দেবে। এর মধ্যেই বিয়ে?
সেখানে মাত্র দিন দুয়েক থাকতে পেরেছিল। প্রথমে কাকিমা ভেবেছিল বেড়াতে এসেছে ফুলটুসি। কিন্তু পরে সব শুনে সোজা বলে দিয়েছিল, বাড়িতে বলে এলে দুদিন কেন মা। সারা জীবন রাখব। কিন্তু না বলে এলে- বুঝতেই তো পারছিস মা এই পুলিশ ফুলিশ যদি হয়।
সেখান থেকে গেল ইতিহাসের মাস্টার মশাই রথীনবাবুর কাছে। খুব পড়াশোনা ভালবাসেন। ফুলটুসির পড়াশোনায় তাঁর খুব উৎসাহ। প্রথমে তো আঁতকে উঠেছিলেন, সে কি রে দস্যি মেয়ে বাড়ি থেকে না বলে-
হাতেপায়ে ধরেছিল ফুলটুসি, একটা ব্যবস্থা করে দিন স্যর। আমাকে ওরা বলি দেবে।
-বলিই বটে। পড়া ছাড়িয়ে বিয়ের হাড়কাঠে বলি!
ভরসা দিলেন স্যর, হয়ে যাবে ক্ষন। ক্লাস সেভেন এইট ছেলেমেয়েদের অংক টঙ্ক করাতে পারবি তো?
পারবেই তো, স্বচ্ছন্দে পারবে। এত ভাল মেয়ে লেখাপড়ায় আর পারবে না? লেখাপড়ার খরচটা অন্তত যাতে উঠে যায়। মাস্টার মশাই অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিলেন তার খবর কাউকে কিছু জানাবে না। বাড়িতেও নয়।
উত্তেজনায় কাঁপছে ফুলটুসি। দু চোখ দিয়ে জলের ধারা। মুখে ক্রমাগত বলে যাচ্ছে, ওই জহ্লাদদের হাত থেকে আমাকে বাঁচান স্যর। আমার যে আর কেউ কোথাও নেই
একটু রাত জেগে পড়ার অভ্যাস তার। তাছাড়া মাধ্যমিকে তাকে খুব ভাল নম্বর করতেই হবে। যদি একটা স্কলারশিপও জোটে তবে পরের পড়াশোনার খুব  সাহায্য হবে।
রাত বারোটা। দরজা বন্ধ করে নি সে। ভেজানো ছিল মাত্র। ইতিহাস স্যারের ইতিহাস জ্ঞান খুব ভাল। মুখের ভূগোলও নেহাত খারাপ নয়। কিন্তু সেই ভূগোলের চেহারা পালটে গেল সেই রাতে। একটা সোমত্ত মেয়ের রাত সাড়ে বারটা অব্দি ঘরের দরজা ভেজানো। ফাঁক দিয়ে আসা আলোটা মনে কৌতূহল জাগিয়েছিল। আর সেই ফাঁক নিঃশব্দে একটু বড় করতে টেবিল ল্যাম্পের মৃদু আলোয় একমনে পাঠরত ফুলটুসির মুখখানা যেন নেশার ঢেউ তুলে দিল। বাথরুমে যাচ্ছিলেন। এখন সেটা স্থগিদ রেখে এটাকেই বেডরুম বানানোর পরিকল্পনা হল।
-একি করছেন স্যার? আমি আমি- চেঁচাব কিন্তু। আপনি আমার স্যার কত সম্মান করি আর আপনি আমাকে-
কান্নার সঙ্গে চেচামেচি যা একটু হল তাতেই ঘুমচোখে স্যারের বৌ ছুটে এল।
-দেখ ফুলি, রথীনবাবুর হতবাক হয়ে যাওয়া বৌ বললেন, যেটা হল সেটা ভুলে যাওয়াই ভাল। আর ভগবানকে ধন্যবাদ দে যেটা হওয়ার ছিল তার সবটা হয় নি বলে। আজ রাতে তো আর তোকে চলে যেতে বলতে পারি না। কিন্তু কাল সূর্য ওঠার আগে তুই উঠেই চলে যাবি। আর কাউকে এটা বলার চেষ্টা মাত্র করবিনা। কেউ বিশ্বাস করবে না কিন্তু।
এরপর আর এক বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু যাওয়ার পথে কুকুরের মত তাড়া করেছিল একটা মানুষ। নেশায় টলমল করা একটা দুপায়ে ভর করা কুকুর। দৌড়ে লুকিয়েছিল একটা বারান্দায় কোনরকমে। তারপর ভাবল নিজে চোর না হয়েও চোরের মত কেন পালিয়ে বেড়াবে? তাই ভোর হতেই থানায় এসে পড়েছে। এখন স্যর যদি জেলে পাঠান তো সেও ভাল অন্তত জেলখানার ভেতর তাকে হয়ত বলি হতে হবে না।
-তুমি আমাকে মেয়ের বয়েস আঠার বছর দুমাস বলেছিলে? বলেছিলে এগার ক্লাসে পড়ে?  
অলকবাবুর কথার উত্তর দিতে পারল না অক্ষয় তেমন জোরের সঙ্গে এবার। পারল না কেন সে একটা মেধাবী মেয়েকে লেখাপড়ায় অমনোযোগী বলেছিল তার উত্তর দিতে। আমতা আমতা করে শুধু বলল, গরিব মানুষ সাহেব। অতি কষ্টে একটা ভাল পাত্র পেয়েছিলুম তাই-
-একটা মাধ্যমিক দিতে যাওয়া মেধাবী মেয়ের সঙ্গে অশিক্ষিত একটা রিক্সাচালক হল তোমার কাছে উপযুক্ত পাত্র? ধমকে উঠলেন দারোগা সাহেব, একটা চোদ্দ বছরে মেয়েকে অনায়াসে বয়েস লুকিয়ে আঠারো বলা তোমার বার করছি। গরগর করছেন দারোগা সাহেব।
-তোমাদের জন্যে মেয়েটার কি দুর্গতি হয়েছিল জানো? লজ্জা করে না তোমরা নাকি ওর নিজের বাবা মা? শুধু মেয়ের ক্ষতিই নয়, দেশের কতবড় ক্ষতি করতে যাচ্ছিলে জান? জান আজকাল মেয়েরা কত উচ্চশিক্ষিত হয়ে দেশের কত সেবা করছে? শুধু দেশ কেন তোমার মেয়ে তো পরে বিদেশেও চলে যেতে পারে। সেখান থেকে তো সে সারা বিশ্বের জন্যে কত কাজ করতে পারে?
উৎসাহের চোটে অনেক দূর এগিয়ে একটু লজ্জা পেলেও পরে ভাবলেন কথাটা ভুল কিসে? যারা বিদেশে যায় তারা তো মানুষের জন্যেই করে নাকি? সারা বিশ্বের লোক কি উপকৃত হয় না?
মাথা একটু একটু নাড়ছে বাবা। বুঝছে হয়ত একটু একটু। লজ্জায় মাটির দিকে তাকিয়ে বলল, আমাদের মত গরিব ঘরে এসব স্বপ্ন সাহেব।
আবার একটা ধমক, তোমার মেয়ের কথা আমি শুনেছি মন দিয়ে। খুব মেধাবি মেয়ে সে। সুযোগ পেলে সে কত বড় হতে পারে জান? সত্যি তুমি একটা জহ্লাদ। মেয়েকে বলি দিতে যাচ্ছিলে।
বাবা মাকে আর কোনও শাস্তি দিলেন না অলকবাবু। শুধু বলেদিলেন, ফুলটুসির লেখাপড়ার জন্যে যদি কিছু দরকার হয় যেন তারা তাঁর কাছে আসে।
নটেগাছ মুড়োবার আগে একটা শেষকথা সে বলে গিয়েছিল।
শেষকথাঃ খুব ভাল ভাবে পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট করার পর এখন আই-এ-এস পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফুলটুসি। ওর ঝর্ণাকাকিমা এখনও আক্ষেপ করে বলে, আমার একটা ছেলে যদি থাকত মা তোকে আমি ঘরের বৌ করে আনতাম রে। 4/9/2016


   

No comments:

Post a Comment

সম্পাদকীয় ও চিত্রাঙ্কন-গৌতম সেন ... সম্পাদনা ও কারিগরী সহায়তা - নূপুর বড়ুয়া

সম্পাদকীয় ও চিত্রাঙ্কন-গৌতম সেন ... সম্পাদনা ও কারিগরী সহায়তা - নূপুর বড়ুয়া