১
দোলের চাঁদ ডুবে যেতেই মানুষগুলো বেরিয়ে পড়ল শিকারের সন্ধানে ।
অন্ধকারে দানবের মত সবুজ চোখ মেলে ওরা শুষে নিচ্ছিলো সর্পগন্ধার নির্যাস।
ওদের দানবীয় ছায়াগুলি দীর্ঘ হতে হতে ঢেকে দিলো শস্যের ক্ষেত, অরণ্যের আলো ও সুপ্রাচীন শিলালিপির স্তুপ।
গুহামানবের মত অর্ধনগ্ন বল্কলে ঝরে পড়ছে কামাতুর লালা, ঝরে পড়ছে অনিদ্রিত রাত, বরফের মত তীক্ষ্ণ শিশির।
দোলের চাঁদ ডুবে যেতেই মানুষগুলো বেরিয়ে পড়লো শিকারের সন্ধানে ।
২
পায়ের নিকষ শব্দে জেগে ওঠে যত শবদেহ। পৃথিবীর আনাচে কানাচে তক্ষক ডেকে ওঠে।
একটা পরিখা ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওরা। লাল আগুনের আঁচে ছুটে চলে সোনার হরিণ।
আগুন এগিয়ে আসে। আহা, এক সুতীব্র বাঁচার ইচ্ছে যেন ওকে উন্মত্ত করে তোলে।
মায়া-মৃগ ছুটে চলে। ছুটে চলে। ছুটে ছুটে ছুটে চলে। দানবীয় উল্লাসে মেঘ সরে যায়, পাপিষ্ঠা চাঁদ হেসে ওঠে ।
চামড়ার পোড়া গন্ধে আকাশ বাতাস ভরে যায়। আহা, এ যেন স্বপ্নের ভোজ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে কেটে ওরা তৃষ্ণা মেটায়।
৩
হঠাৎ দিগন্তব্যাপী বৃংহণে ঝড় ওঠে। নীল পাহাড়ের বুক চিরে নেমে আসে একদল দাঁতালো বুনো হাতি।
স্তম্ভের মত পায়ে পায়ে ওরা পিষে ফেলে, পিষে ফেলে, পিষে পিষে পিষে ফেলে দানবের জিহ্বা, লিঙ্গ, বিবমিষা।
সোনার হরিণ ঘিরে ওরা গোল হয়ে, গোল গোল হয়ে পাক খায়। ধিকি ধিকি জ্বলে চলে পরিখার অভিশপ্ত আগুন।
আরো এক যুগ কেটে গেলে, আবার উঠবে দোল-পূর্ণিমা চাঁদ।
আবার বীর্য-মেঘে চাঁদ ডুবে গেলে, দানবীয় উল্লাসে শিকারের তীব্র নেশায় বেরিয়ে পরবে যত সভ্য মানুষ।
দিগন্ত ব্যাপী বৃংহণে ঝড় তুলে, আবার পাহাড় থেকে নেমে আসবে একদল অরণ্যের দাঁতালো বুনো হাতি।
আবার , আবার, আবার...
অসাধারণ লেখা দাদা......
ReplyDelete