Thursday, March 23, 2017

ছোট গল্প......মালিক......অরুণ চট্টোপাধ্যায়

লোকটাকে দেখেই আমার কেমন সন্দেহ হয়েছিল। এটা পাগল যদি না হয় আমি পাগলের বেটা। আরে বাপু এখন বাজে একটা চল্লিশ। প্যাসেঞ্জারটাকে স্টেশনে লোড করে আমি নিজেকে একটু লোড করে নেব ভাবছি এমন সময় এই বেয়াড়া উৎপাত কার ভাল লাগে ভাই?
এমন সময় বৌটা রান্না করে গালে হাত দিয়ে এফ এম শোনে। ঐ যে রেডিও মিরচি নাকি বলে গুরু। তা আমার এ সময় বৌয়ের হাতের বেগুন ভাজা আর কলমি শাকের চচ্চড়ি মাখা ভাত খেতে মন যাবে নাকি দিলখুশের দোকানের ঝাল চানাচুরের সঙ্গে হাসানের ঠেকের ঐ দিশি মাল ভাল লাগবে? অমন দিশি মাল এ চত্বরে কোথায় আছে শুনি? অমৃত – জাস্ট অমৃত গুরু। হাতে পড়ে গেলে চাটতেই সময় লেগে যায়
কিন্তু লোকটা আমার নেশায় দিব্বি কাঠি মেরে দিল। কোথা থেকে এসে ধড়াম করে রিক্সোয় উঠে পড়ল। আমার পুরোন রিক্সাটা যেন ক্যাঁচ ক্যাঁচ করে ককিয়ে উঠল
এমন বেয়াড়া মাল আমি কখনও দেখি নি। পোশাকের ছিরি দেখ। একটা সরু সাদা পাজামার সঙ্গে ছাই রঙ্গের খদ্দরের পাঞ্জাবী। উস্কোখুস্কো বড় বড় চুলের সঙ্গে কালো শোঁয়াপোকা মার্কা গোঁফ। চোখে একটা মোটা ফ্রেমের চশমা আর তার ভেতর দিয়ে ঘোলাটে দৃষ্টি। কোথায় যাবে তা বলে নি। আমি প্যাডেলে পা দিতেই চেনটা মড়মড় করে উঠল। যেন জিজ্ঞেস করতে চাইল কোথায় যেতে হবে তাকে। প্যাডেলে দ্বিতীয় চাপটা দেবার আগে আমি প্রশ্নটা চোখে নিয়ে পেছনে তাকালাম। উত্তর পেলে সামনে তাকিয়ে গতি বাড়াব রিক্সার
তা নবাব পুত্তুরের হুঁশই নেই দেখছি। গন্তব্যটা বলার কোনও তাড়াও নেই। সোজা তাকিয়ে আছে সামনে। একটু বিড়বিড় করছে বটে। আমার মত রিক্সাওয়ালারা না হয় বাড়িতে বৌয়ের হাতে ভাত খাবার চেয়ে ঠেকে বসে দিশি মাল গলায় ঢেলে মাতাল হতে ভালবাসে। কিন্তু তাই বলে এই ভদ্দরলোকের ব্যাটা –  
- হ্যাঁ, তাই তো মনে হচ্ছে। বেশ ক’ বোতল টেনেছে নাকি?
চোখ ফিরিয়ে নিলাম। বেশিক্ষণ ওভাবে থাকলে তো এক্সিডেন্ট হবার সম্ভাবনা। মর গে যা। আমার কি। বলে তো ভাল না বললে আরও ভাল। রিক্সায় যত পাক ঘুরবে আমার মিটার তত চড়বে। তা হাসানের ঠেকটা না হয় এবেলা চুলোয় গেল। মালকড়ি কিছু বেশী এলে ওবেলা নয় পুষিয়ে নেওয়া যাবে
আমি রিক্সা টানছি আর লোকটা বিড়বিড় করে যাচ্ছে। হঠাৎ চিল্লিয়ে উঠে বললে, আরে কোথায় যাচ্ছ? এতক্ষন লাগছে কেন?
আমি লাল চোখ করে পেছন ফিরে বললুম, কোথায় যাবেন বলেছেন কি? যাবেন কোথায়?
লোকটা কেমন যেন হয়ে গিয়ে বলল, এই ২৭ নম্বর ব্রজবিহারী লেন
এদিকে না ফিরেই বিরক্ত হয়ে বললুম, সে সব তো কবে চুকে বুকে গেছে স্যার। তা অন্তত মিনিট দশেক আগে
লোকটা আরও বিরক্ত হল, চলে গেল? চলে গেল? তুমি কেমন লোক হে? বললে না? রিক্সা চালিয়েই যাচ্ছ?
এবার মনে হল এটাকে ২৭ নম্বর ব্রজবিহারীতে ক’বার দেখেছি বটে। দেখেছি মানে বন্ধ গেটটার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। কি যেন নিজের মনে ভাবছিল সব। মনে একবার হয়েও ছিল যে ২৭ নম্বরটায় আসতে একবার হাঁক পাড়ি। কিন্তু মনের মধ্যে লোভটা আমায় হাঁক পাড়তে দিল না কিছুতেই। মরুক না লোকটা কিছু ঘুরে? তাতে আমার তো কিছু দোষ নেই? আমি তো জিজ্ঞেস করেছিলুম সেই প্রথমেই। এ বরং ভালই। আমার মিটার একটু চড়ে তো চড়ুক
লোকটা আর ক’বার হা হুতাশ করল। যেন খুব দেরি হয়ে গেছে। মনে হল যেন শুঁড়ীখানায় ঢুকতে খুব দেরি হয়ে যাচ্ছে ভেবে মরছে লোকটা। আগের নেশাটা তেমন জমে নি বোধহয়। আবার করবে। মন বলল, হরি হরি। কত কি আর দেখতে হবে গোপলা রিক্সাওলাটাকে!
কিন্তু হঠাৎ মনে হল ২৭ নম্বর ব্রজবিহারী তো শুঁড়িখানা নয়? একটা বড় খুব পুরোন বাড়ি। শুনেছি ওর মালিক বিরাট বড়লোক। পূর্বপুরুষ জমিদার ছিল। কোলকাতায় থাকে।  যেমন অনেক পাড়াগেঁয়ে জমিদারের বংশধর গাঁয়ের বাড়িগুলো খালি রেখে শহরে গিয়ে ইমারত তুলে বাস করে তেমন আর কি  
ওখানে তো কেউ থাকে না। তা এই বদখচ লোকটা ওখানে কি মতলবে? কেস খাওয়া আদমি নাকি? পালিয়ে বেড়াচ্ছে? ডাকাতি বা  খুনের আসামী নয় তো? নাকি রেপ কেস? আজকাল তো ওটা খুব হচ্ছে
- এই ঘোরাও, ঘোরাও। রিক্সা ঘোরাও। লোকটা খড়খড়ে গলায় বলল, কত দেরি করে দিলে বল তো?
একে তো হাসানের ঠেকের নেশা আমার মাথায় চড়েছে। তার ওপর এই গরম মেজাজ। আমার মেজাজটাও গেল চড়ে। প্যাডেল করা বন্ধ করে দিয়ে রিক্সা দিলাম হঠাৎ থামিয়ে। চেন আর প্যাডেল মড়মড় করে উঠল। বললাম, নামুন তো মশাই রিক্সা থেকে। পয়সা মিটিয়ে দিন আমার। অন্য রিক্সা দেখে নিন। রিক্সায় ওঠা ইস্তক জিজ্ঞেস করে চলেছি কোথায় যাবেন কোথায় যাবেন। বলেছেন একটি বার?
লোকটার মেজাজও বেশ দেখার মত হল। বেশ ফুঁসছে। নেমে কাঁপতে কাঁপতে পকেট থেকে পয়সার ব্যাগটা বার করতে করতে বলল, আমিও দেখে নেব তোমায়
- যান যান মশাই। আপনার মত কত লোককে আমিও দেখেছি
লোকটা হঠাৎ কিছু না বলে আমার দিকে হাঁ করে দেখতে লাগল। আমি তো অবাক। মেজাজ তার মুহূর্তে বদলে গেল। একেবারে পেস্ট্রির মত নরম। এমন মেজাজ তো কোনও পাঁড় নেশাখোরের মত নয়?
- বড় বিপদে পড়েছি ভাই। এখন অন্য রিক্সায় যেতে গেলে দেরি হয়ে যাবে। আশপাশে দেখছিও না তো একটা। আমার বড্ড ভুল হয়ে গেছে। হাতদুটো ধরার উপক্রম, আমাকে ২৭ নম্বরটায় পৌঁছে দাও ভাই। বাড়তি ভাড়া যা চাইবে আমি দিয়ে দেবো
আমার বুকের পাটা তো তখন মহৎ হবার আনন্দে একেবারে যেন ফেটে পড়তে চাইল। তাকে উঠিয়ে নিয়ে আমি আবার প্যাডেলে মারলাম একটা মোক্ষম চাপ। এবার খুব উৎসাহের সঙ্গে। দশ মিনিটের রাস্তাটা পাঁচ মিনিটে একেবারে উড়িয়ে নিয়ে চলে এলাম ২৭ নম্বরে। হাসানের ঠেকে এবেলা না হয় নাই যাওয়া হবে। এবেলা না হয় রান্না সেরে গালে হাত দিয়ে রেডিও মিরচি শোনা বৌয়ের কাছে একটু তাড়াতাড়িই যাব। অন্যদিন কলমি শাকের চচ্চড়ি দিয়ে ভাতের গ্রাস যেমন লাগে আজ নিশ্চয় একটু ভাল লাগবে। কেন জানি না এই লোকটা এত করুণ ভাবে আমার কাছে সাহায্য ভিক্ষা করছে সেটা আমাকে বড় তৃপ্তি দিচ্ছে
কিন্তু কি অভদ্র লোক রে বাবা। রিক্সভাড়া মাত্র কুড়িটা টাকাও রাখে না পকেটে? এ পকেট ও পকেট হাতড়ে শেষে বলে কিনা, সরি ভাই। পার্সটা মনে হয় ভেতরে ফেলে এসেছি। আমি এক্ষুনি পাঠিয়ে দিচ্ছি টাকাটা
লোকটা সেই যে ভেতরে গেল তো গেলই। আসার আর নাম নেই। ভারি অভদ্র লোক তো। পাঁচ সাত আট মিনিট কেটে যায়। আমার মেজাজ চড়ছে। আমি ভাবছি আমার পাওনার সঙ্গে ওয়েটিংটাও জুড়ে দেব কিনা। কিন্তু এই বাড়িতে কি হয় তা দেখার কৌতূহল হচ্ছে। একটা উঁচু পাঁচিল আর বেশ বড় ঢাকা গেট দিয়ে বাড়ীটা বাইরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করা। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কি হছে
লোকটাকে আসতে না দেখে বেশ সন্দেহ হচ্ছে এবার। ডাকাত নাকি? না সন্ত্রাসবাদী? এখানে ঘাপটি মেরে বোমা বানায় ? জিনিসটা একটু দেখব নাকি?
একটু এগিয়েছি। বড় গেটটা সামান্য ফাঁক। সেখান থেকে চোখ রেখেছি। ভেতরে বেশ কিছু লোকের ছোটাছুটি। ঐ যে একজন এদিকেই আসছে
সেটা এল না। কিন্তু অন্য একজন বাইরে এসে বলল, দাদা আপনার ভাড়াটা –
শুধুই বলল কথাটা। টাকাটা কিন্তু বাড়াল না। হাতের গোঁজায় তেমন কিছু চোখেও তো পড়ল না। আমি বেশ বিরক্ত হয়ে বললুম, মশাই কুড়ি টাকা ভাড়ার জন্যে কুড়ি মিনিট দাঁড়িয়েই রইলাম। এ কিরকম ব্যাভার আপনাদের?
লোকটা এগিয়ে এসে খুব মোলায়েম গলায় বলল, সরি দাদা একটু দেরি হল। কিন্তু আমাদের দাদা মানে শুভেন্দু স্যার আপনাকে একবার ডাকছেন ভেতরে
এ কি রে মাইরি! আমাকে করছে আপনি আজ্ঞে? আমাকে – যে একটা ময়লা ফুলপ্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জির ওপরে তেলচিটে গামছা পিঠে লাগিয়ে রিক্সা চালায় তাকে করছে আপনি আজ্ঞে? নক্সাবাজি আর কি। গরিবের টাকাটা মেরে দেবার ধান্দা আর কি। আমি মাথা নাড়লুম, ভেতরে গিয়ে টাকা ফাকা নিয়ে আসতে পারব না। আপনি মশাই এনে দিন
আমার আপত্তি ধোপে টিকল না। দেখি আরও ক’জন বেরিয়ে এসেছে। সবাই বেশ মিহি সুরে বলছে, একটু ভেতরে চলুন না দাদা। আপনার কিছু খারাপ হবে না। বরং দেখবেন ভালই হবে
কোন এক দাদা নাকি বলেছিল, ন্যাংটার নেই বাটপাড়ের ভয়। তা আমার তো কাড়ার মধ্যে আছে এই ময়লা ফুলপ্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জিটা। তা কাড়ার হলে নে কেড়ে নে। ফাউ হিসেবে একটা তেলচিটে গামছা সঙ্গে নিয়েই যদি খুশি হোস তো হ
কিংবা মনে হল এটা একটা পাগলা গারদ। আজকাল পাগল বেড়ে গেছে কিন্তু তাদের জন্যে গারদ তেমন হয় নি। এরা সস্তায় এই বাড়ি খানা পেয়ে বানিয়েছে সেটা
আমি পড়েছি মহা ফাঁপরে। যাব কি যাব না ভাবার আগেই এদের তোয়াজে গলে জল হয়ে গিয়ে ভেতরে ঢুকতেই হল
- স্যার। রিক্সাওলা দাদা এসেছে
এতক্ষনে ভেতরটা ভাল করে দেখার ফুরসৎ হল। ভেতরে ওই যে লোকটা। আমার রিক্সার আধ-পাগলা সওয়ারী। কি করছে? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাদের যেন কি সব নির্দেশ দিচ্ছে। হাসি মুখে এগিয়ে এসে বলল, আমি টাকাটা পাঠিয়ে দিতে পারতাম ভাই কিন্তু তোমাকে আমার খুব দরকার। আমার একটা বড় উপকার করে দিতে হবে। না বললে কিন্তু হবে না
হাফ-পাগল লোকটা আমার পিঠে হাত বুলিয়ে একেবারে আদর করতে লাগল যেন। রেগে আগুন হব কি গলে একেবারে জল হবার দশা আমার। মন বলল, একটা সামান্য রিক্সাওলা হয়ে এদের কি উবগারটা করতে পারবি বাপ যে এরা তোকে এমন জামাই আদর করছে?
ভেতরে ক্যামেরা ট্যামেরা দেখে বেশ মালুম হচ্ছে এখানে কোনও সিনেমার স্যুটিং টুটিং হচ্ছে। তা আমাকে কি দরকার? হয়ত আমার রিক্সায় কোনও জিনিস কোথাও পাঠাবে। একটু কম পয়সায় বড় কোনও জিনিস আর কি। কিন্তু তার জন্যে এত কাকুতি মিনতি? মনটা তো মানতে চাইছে না কিছুতেই
আর একজন এগিয়ে এল। বলল, তোমাকেই এখন আমাদের সবচেয়ে দরকার ভাই। ঐ যে উনি এলেন তোমার রিক্সায় উনি এই ফিল্মের ডিরেক্টর শুভব্রতবাবু
অবাক হয়ে ভাবি ফিল্মের ডিরেক্টররা তো সব দামী মটরগাড়ি চড়েন। তা ইনি আমার রিক্সায় কোন পুন্য করতে পা রেখেছিলেন তা ঠিক বুঝতে পারলাম না। হঠাৎ মনে হল তাই তো – বাড়ীটা ঢাউস হলেও রাস্তাটা তো বেজায় সরু। মটরগাড়ি এখানে ঢুকতেই পারে না। গলিতে ঢোকার মুখে মাধ্যমিক ইস্কুলের মাঠে বেশ ক’টা বাস মোটর দেখেছিলাম না? এখন মনে হচ্ছে এই সিনেমা কোম্পানীর গাড়িগুলোই সেখানে গ্যারেজ হয়েছে
- কিন্তু কি জান, লোকটা বলল, টাকায় পোষায় নি বলে আমাদের হিরো স্যুটিং ছেড়ে চলে গেছে। গল্পের হিরো একটা রিক্সাওলা। কম টাকায় এত খাটনির কাজ পোষাবে না বলে আমাদের হিরো শাওন কুমার চলে গেছে। সে অনেক টাকা চেয়েছিল কিন্তু প্রডিউসার দিতে রাজি নয়। আর একজন প্রডিউসার এগিয়ে এসেছিল কিন্তু সে ক্রিকেট জুয়ায় অনেক টাকা পেয়েছে। আমাদের ডিরেক্টর সাহেব খুব সৎ মানুষ তিনি রাজি হন নি
 এগিয়ে এলেন ডিরেক্টর সাহেব। হেসে বললেন, একেই বলে হাতে চাঁদ পাওয়া। তোমার রিক্সায় উঠেই বুঝেছি তুমি হিরো হবার উপযুক্ত।
আমি তো আকাশ কেন তার থেকেও কোনও উঁচু জায়গা যদি থাকে তো সেখান থেকে পড়ি। আমি একটা মালখোর চার পয়সার রিক্সাওলা। লেখাপড়ায় ক’ অক্ষর গোমাংস। আমি কিনা হিরো হব? পকেটের ভেতর হাত গলিয়ে কাটলুম এক রামচিমটি। তারপর  নিজেই কাতরে উঠে বললুম, কি – কিন্তু –
সবাই ঘিরে ধরেছে আমায়। অনুনয় বিনয়। কাকুতি মিনতি। জানা গেল হিরো না পাওয়া গেলে এ সিনেমা হবে না। তখন এরা মানে ছবি করার এই লোকগুলো সব মাইনে না পেয়ে না খেয়ে মরবে
- না কোর না ভাই। এখন এতগুলো মানুষের মুখে অন্ন উঠতে পারে যদি তুমি রাজি থাক
হাসব নাকি কাঁদব? আমি গোপলা রিক্সাওলা – দিন গেলে সাকুল্যে দেড়শ কি একশ সত্তর আশি টাকা পাই কোনও মতে। যার মধ্যে ওই সত্তর আশি টাকা হাসানের ঠেকের জন্যে রেখে আমার বৌ শান্তির হাতে তুলে দিই সংসারের শান্তির জন্যে। আমার দুটো বাচ্চা আর মা মিলে জনা পাঁচেকের আহার জোটায় সে। সে কি না আজ একটা গোটা সিনেমার হিরো? মুখ দিয়ে অট্টহাসিখানা বেরোতেই ডিরেক্টর সাহেব পিঠ চাপড়ে বললেন, এমন একটা হাসির সিন তোমার কিন্তু আছে গোপলা। আর তেমনি হেসে তুমি প্রমাণ করে দিলে ভুল লোককে আমি বাছি নি   

1 comment:

  1. দারুণ লাগল দাদা............

    ReplyDelete

সম্পাদকীয় ও চিত্রাঙ্কন-গৌতম সেন ... সম্পাদনা ও কারিগরী সহায়তা - নূপুর বড়ুয়া

সম্পাদকীয় ও চিত্রাঙ্কন-গৌতম সেন ... সম্পাদনা ও কারিগরী সহায়তা - নূপুর বড়ুয়া