--বলেছি যখন তোর ছেলেটাকে একটা না একটা কিছু করে দেবোই...
--হ্যাঁ ভাই, তাই যেন হয়।বেকার ছেলেটা আমার বড়ো মানসিক কষ্টে আছে রে, দেখে আমারও খুব খারাপ লাগে।হাজার হোক বাবা তো....
--তুই কিচ্ছু চিন্তা করিস না, আমি তো আছি, নাকি?
--না না, তোর ওপর আমার অগাধ বিশ্বাস...তুই আমার ছেলেবেলার বন্ধু।একসাথে কতো সময় কাটিয়েছি....তুই একটু দেখ ভাই, পার্টি লেবেলে তোর কতো জানাশোনা....আমি তোর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
--হ্যাঁ ভাই, তাই যেন হয়।বেকার ছেলেটা আমার বড়ো মানসিক কষ্টে আছে রে, দেখে আমারও খুব খারাপ লাগে।হাজার হোক বাবা তো....
--তুই কিচ্ছু চিন্তা করিস না, আমি তো আছি, নাকি?
--না না, তোর ওপর আমার অগাধ বিশ্বাস...তুই আমার ছেলেবেলার বন্ধু।একসাথে কতো সময় কাটিয়েছি....তুই একটু দেখ ভাই, পার্টি লেবেলে তোর কতো জানাশোনা....আমি তোর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
রাতে শুতে যাওয়ার আগে অভ্যাসবশতই অবনীবাবু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল
আঁচড়াচ্ছিলেন।আয়নায় নিজের মুখটার দিকে তাকিয়েই থ' হয়ে গেলেন।তিনি যেন স্পষ্ট শুনতে
পেলেন, "এই শেষ বয়সে এসে ঘুষ...."!
অবনী সঙ্গে সঙ্গে মুখটা সরিয়ে নিলেন আয়না থেকে।কোনও দিন, কোনও কিছুর জন্যই কাউকে তেল মাখাননি তিনি।নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন।কিন্তু আজ একমাত্র ছেলে তমালের সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত তাকে তিন লাখ টাকায় 'রফা' করতে হল 'বন্ধু' মনোতোষের সাথে!!
অবনী সঙ্গে সঙ্গে মুখটা সরিয়ে নিলেন আয়না থেকে।কোনও দিন, কোনও কিছুর জন্যই কাউকে তেল মাখাননি তিনি।নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন।কিন্তু আজ একমাত্র ছেলে তমালের সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত তাকে তিন লাখ টাকায় 'রফা' করতে হল 'বন্ধু' মনোতোষের সাথে!!
অবসরের পর যে টাকা অবনী পেয়েছেন, তার পুরোটাই কবিতার বিয়ের জন্য
রেখে দিয়েছেন ব্যাংকে।এখন.....
সকালে মায়ের কাছ থেকে খবরটা শুনলো তমাল।সারাটা দিন বাইরে বাইরে
কাটিয়েছে কাজের খোঁজে।রাতে শুতে যাওয়ার আগে বাবাকে গিয়ে বললো, "চাকরি
যদি হয়, নিজের যোগ্যতায় হবে।নইলে ব্যবসা করে খাবো।তবু...."
তমালের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন অবনী।যেন আয়নায় নিজের মুখটা দেখতে
পেলেন।
No comments:
Post a Comment