এবারেও নেটের ফর্ম পূরণ করা হল না। অনেকগুলো চাকরীর ফর্মও পূরণ করা হয়নি। বড্ড অসহায় বোধ করে নিবিড়। আর্থিক অনটনে নিজেকে পঙ্গু মনে হয়।
একদিন স্বপ্ন ছিল স্কুলের শিক্ষক হওয়ার। আর একটা স্বপ্নের বাড়ি। কারণ ছোট থেকে ঘর আর খাওয়ার কষ্টগুলো তাকে বিঁধেছে বারবার। অথচ পশ্চিমবঙ্গে বেকার প্রসবের উৎসবে তার স্বপ্নও ছিঁড়ে কুচিকুচি। টিউশন পড়িয়েই সংসার চলে কোনোরকমে। বাবা আবার অসুস্থ।
দারিদ্রতার সঙ্গে সংগ্রাম করে পড়াশোনা , তাই পিএইচডি-টা অধরাই রয়ে গেল। তার থেকে নিম্নমেধার কত বন্ধু পিএইচডি করছে। নিজের অধরার তালিকাগুলো মেলাতে থাকে সে- আঁকা শেখার স্বপ্ন, ঘর, খাওয়া আর শৈশবে বুকের মধ্যে জন্মানো প্রেম শবরী।
শবরীরও ক'দিন পরেই বিবাহ। বুকের মধ্যে শবরীর স্বপ্নগুলো প্রাচীনপুঁথির মতো সাজানোই রয়ে গেল আড়ালে?
ঝন্ ঝন্ সাইকেলের আওয়াজে নিবিড় নিজের অস্তিত্ত্বের মিল পায়। সারি সারি সবুজ গাছগুলোকে পিছনে ফেলে সে এগিয়ে যায় প্যাডেল ঘুরিয়ে...
শহরের মুখে চলে এসেছে প্রায়। এখন সে এই ছোট্ট তারকেশ্বর শহরেই গৃহশিক্ষকতা করে। বড়ো বড়ো বাড়ি, দামী গাড়ি, মূল্যবান আসবাবে ভরা পরিবার। ঈশ্বর কেন এমন? একজনকে খিদের স্বপ্ন দেখায়, একজনকে উজাড় করে দেয় সবকিছু...
হঠাত্ একটা গাড়ি ধাক্কা দেয় নিবিড়কে। সে ছিটকে পড়ে। ভাবনার মাঝে সে কখন রাস্তার মাঝে চলে এসেছিল খেয়ালই করেনি। গাড়ির গতি কম থাকায় রক্ষে।
নিবিড় কোনোরকমে উঠে দাঁড়ায়। সাইকেলটা ভেঙে গেছে। গাড়িটা তার কাছেই থামে। একজন চশমাপরা লোক মুখ বাড়িয়ে বলে, "ফুটপাত দিয়ে যেতে পারেন না! যতসব ছোটোলোক!"
নিবিড় শূন্য দৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকায়। তার কিছু বলার নেই যে। রাজপথ নয়; ফুটপাতই তো তার পথ।
হঠাত্ একটা গাড়ি ধাক্কা দেয় নিবিড়কে। সে ছিটকে পড়ে। ভাবনার মাঝে সে কখন রাস্তার মাঝে চলে এসেছিল খেয়ালই করেনি। গাড়ির গতি কম থাকায় রক্ষে।
নিবিড় কোনোরকমে উঠে দাঁড়ায়। সাইকেলটা ভেঙে গেছে। গাড়িটা তার কাছেই থামে। একজন চশমাপরা লোক মুখ বাড়িয়ে বলে, "ফুটপাত দিয়ে যেতে পারেন না! যতসব ছোটোলোক!"
নিবিড় শূন্য দৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকায়। তার কিছু বলার নেই যে। রাজপথ নয়; ফুটপাতই তো তার পথ।
No comments:
Post a Comment