কবিতা / জীবন / গীতা গুপ্তু

মানব , জন্মের সন্ধিক্ষণে তীব্রস্বরে কেঁদে ওঠে ---

 চারিদিকে আত্মীয় স্বজনের হাসির উচ্ছাস ফোটে –

- শিশুর কানে কে বলে ওঠে ---

কেঁদো না –

 বিরাট রঙ্গালয়ে এসে পড়েছ –

বাড়ি ছেড়ে .—

 বিচিত্র অভিনয় করতে এসেছ সত্ত্বা ,

 এসে দাঁড়িয়েছে তার পাশে : সত্ত্বা –

এনেছি তোমার চরিত্র লিখে –

 যা লেখা আছে সেই মতনই তুমি চলবে –

 তোমার মতন তুমি চলবে লোকে তাই বলবে –

এই চরিত্র শেষ হলে ,

পরের চরিত্রে যাবে আমার সঙ্গে

বিচিত্র চরিত্র সব করতে হবে অন্য বেশবাস নিয়ে অঙ্গে –

 কেউ বাহবা দেবে , কেউ বা দেবে উপহাস আর যন্ত্রণা

তুমি কিন্তু শুনবে না কারুর মন্ত্রণা :

এখন করতে হবে বিচিত্র চরিত্র ----

ঘাত প্রতিঘাত সুখ দুঃখ আনন্দ ধরে আমি চলব আগে ,

তুমি চলবে পরে

 এইভাবে চলবে দিনরাত্রির খেলা

 এই খেলা খেলতে কেটে যাবে বেলা :

 বেলাশেষে পড়বে যখন তোমার ডাক অন্য মঞ্চে

বেস বদলের ডাক ,

 সঙ্গী সাথী পারবে না কেউ রাখতে ধরে

 তোমায় যে যেতেই হবে তাদের ছেড়ে

 চারিদিকে তাকিয়ে দেখলে তুমি

সত্ত্বা গেছে চলে তোমায় দিয়ে চুমি :

দেখলে ---

 শূন্য শরীর পড়ে আছে শুধু ---

- যখন তুমি কেঁদেছিলে , তখন সবাই হেসেছিল

 এখন শুধু শুনলে তুমি কান্নার কোলোরোল

 কিন্তূ আবার যেতে হবে অন্য মঞ্চে ,

অন্য বেসে আবার সত্ত্বা আসবে –

 নিয়ে যেতে দিনের শেষে ----