Monday, October 2, 2017

সম্পাদকীয় / গৌতম সেন

সম্পাদকীয় -
এ মাসের পত্রিকা প্রকাশ অনেকটাই এক শোকাচ্ছন্ন মনের বহিঃপ্রকাশ। সেপ্টেম্বর মাসের এক তারিখ, বিনা মেঘে বজ্রাঘাতের মতই খবরটা এল – আমাদের অতি প্রিয় সদস্যা তনুশ্রীদি আমাদের সকলকে কাঁদিয়ে ইহলোক ত্যাগ করলেন। এমন সদালাপী, গুণী মানুষ চিলেকোঠা পরিবারের সকলের কাছে কতটা আপনজন ছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর কণ্ঠভরা সুর, মিষ্টি গানের ডালি আমাদের সবার কাছে ছিল এক পরম সম্পদ। এযাবৎ প্রায় সমস্ত অনুষ্ঠানে চিলেকোঠার দাবী বা অনুরোধ যাই বলি না কেন, তিনি হাসি মুখে মিটিয়ে এসেছেন। আমরা মুগ্ধ হতাম তাঁর সঙ্গীত পরিবেশনে। আজ আর তিনি আমাদের মাঝে নেই, তাঁর সেই সুরেলা উপস্থিতি হঠাতই স্তব্ধ হয়ে গেল।
গত ১৪ই সেপ্টেম্বর, আমাদের প্রিয় তনুশ্রীদিকে মনের নিবিড় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে তাঁদের সল্ট লেকের বাসভবনে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সে অর্থে শোকসভা যতটা নয়, সেদিনের সন্ধ্যা ছিল বরং এক আন্তরিক স্মৃতিচারণের ক্ষণ। চিলেকোঠার বেশ কিছু সদস্য-সদস্যা উপস্থিত হয়েছিলেন পরম শ্রদ্ধেয়, পরমপ্রিয় এই মানুষটি সম্বন্ধে তাঁদের মনের মাঝে জমে থাকা অনেক অনেক কথা প্রকাশ করার ইচ্ছায়। খুব সুন্দর করে বললেন সৈয়দ হাসমত জালাল মহাশয় তাঁর নিজের স্মৃতিচারণের অবকাশে। কবিগুরুর গান উদ্ধৃত করে তিনি জানালেন মৃত্যু বিচ্ছেদ ঘটালেও সে চলে যাওয়া কখনও ই চলে যাওয়া নয় – যিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান, তাঁর উপস্থিতি বেঁচে থাকে পিছনে ফেলে যাওয়া আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, আপনজনেদের উপলব্ধির মাঝে। জালালদার এই তাৎপর্যময় ব্যাখ্যা সমগ্র স্মরণসভার মূল সুর যেন বেঁধে দিয়েছিল। একে একে তনুশ্রীদির স্মরনে উপস্থিত সকলেই তাঁদের নিজেদের অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি ব্যক্ত করলেন। তিনি গান ভালবাসতেন, তাঁর সেই ভালবাসাকে সম্মান জানিয়ে কিছু গানও পরিবেশিত হ’ল এই স্মরণসভা অনুষ্ঠানে। তনুশ্রীদির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা জানাই।
আসন্ন শারদীয়া উৎসব – দুর্গাপুজো ভাল কাটুক সবার। আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল ঘরে, সকল মনে। এই শুভকামনা জানিয়ে আজ শেষ করলাম এখানেই।


No comments:

Post a Comment

সম্পাদকীয় ও চিত্রাঙ্কন-গৌতম সেন ... সম্পাদনা ও কারিগরী সহায়তা - নূপুর বড়ুয়া

সম্পাদকীয় ও চিত্রাঙ্কন-গৌতম সেন ... সম্পাদনা ও কারিগরী সহায়তা - নূপুর বড়ুয়া