আমরা অনেকেই হয়তো অন্যমনস্ক
হয়ে অনেক ভুল করে ফেলি। আমরা যখন একটা কাজ করতে করতে অন্য কথা ভাবি , তখন আমরা অনেক
সময়, এমন অনেক কাজ করে ফেলি, যেটা আমাদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। সেটা কখনো বা মজার
কখনো বা লজ্জার। আমি যখন রাস্তায় কোনো কাজে থাকি , এতোটাই অন্যমনস্ক থাকি যে , অনেক
সময় অনেক চেনা মানুষ কে দেখেও হয়তো খেয়ালই করিনা। এর জন্য অনেকে আমায় অহংকারী,
অভদ্র ভাবতেই পারে । এটা তাদের দোষ নয় , দোষ টা আমার। কখনও বা সম্পূর্ণ অচেনা মানুষ
কে কারো সাথে গুলিয়ে অকারণ আন্তরিক ভাবে কথা বলতে শুরু করি। সেই মানুষটির অবস্থা ভাবো
তো কেমন হয়। এসব অদ্ভুত ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এ হেন আমি একদিন এমন এক কান্ড ঘটিয়েছিলাম
যেটা কেউ করতে পারবে না , এটা আমি নিশ্চিত। প্রায়ই অদ্ভুত ঘটনা ঘটাই , তাবলে এতোটা
? এতদিন পরে আজও মনে পরলে যেমন হাসি পায়, তেমন লজ্জা করে। একদিন সারাদিনের কাজকর্ম
সেরে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছিলাম বাসে করে, খুব ঘুম পাচ্ছিল, ভীষন ক্ষিদেও পেয়েছিল।
বাস টার্মিনাল থেকে উঠেছিলাম বলে ফাঁকা বাসে পছন্দ মতো জানলার পাশের সিটে বসে , একটু
পরে ঘুমিয়ে পড়লাম। এর মধ্যে বাসে বেশ ভিড় হয়ে গেছে। হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখি , আমার
পাশে বসে একজন বাদাম খাচ্ছে। আমি জানলার বাইরে তাকিয়ে কি যেন ভাবছিলাম, আমার পাশের
মানুষটি অনেকক্ষণ ধরে বাদামের খোসা ছাড়িয়ে ফুঁ দিয়ে পরিস্কার করে মুখে যেই দিতে
যাবেন, আমি হঠাৎ হাত বাড়িয়ে তার হাত থেকে বাদাম তুলে নিলাম। তিনি এতোটাই অবাক হয়েছিলেন
যে মুখ হাঁ করে তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে। এক মূহুর্তে আমি অনুভব করি কি করেছি । লজ্জায়
আমার তখন মরে যাওয়ার মতো অবস্থা। তাড়াতাড়ি বাদামগুলো ফিরিয়ে দিতে যাই। উনি বলে
ওঠেন অদ্ভুত ভাবে " না না ঠিক আছে , খান খান " । আর আমি কি করব বুঝতে না
পেরে তাড়াতাড়ি বাদামগুলো ভদ্রলোকের হাতে দিয়ে উঠে পরি , আমার স্টপেজের অনেক আগে
বাস থেকে নেমে পরি। ভাবতে থাকি সম্পূর্ণ পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভুলে এ আমি কি করলাম।মুখ
লাল হয়ে গেছে তখন লজ্জায়।আজও ঘটনাটা মনে পরলে যেমন হাসি পায়, তেমনি লজ্জা করে। আর
সেই মানুষটিও নিশ্চিত এই ঘটনাটা ভুলতে পারেননি। কারণ এমন অদ্ভুত অন্যমনস্ক মানুষ বোধহয়
সে জীবনে কখনো দেখেনি ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
সম্পাদকীয় ও চিত্রাঙ্কন-গৌতম সেন ... সম্পাদনা ও কারিগরী সহায়তা - নূপুর বড়ুয়া
সম্পাদকীয় ও চিত্রাঙ্কন-গৌতম সেন ... সম্পাদনা ও কারিগরী সহায়তা - নূপুর বড়ুয়া

-
ধর্ম আমায় ধারণ করেছে আগুন করেছি বর্ম ... দেখতে পাচ্ছ এই দাবানলে জ্বলছে অস্থি , চর্ম ? দেখতে পাচ্ছ উড়ছে ফিনিক্স , চাঁ...
-
শত চেষ্টা করে যখন একটা কাঠও জোগাড় করা গেল না , তখন নদীর চরে গর্ত খুঁড়ে অভাগীকে শোয়ানো হল । যে খড়ের আঁটি জ্বেলে কাঙালি মায়ের মুখে আগুন...
-
বিষাদের মেঘ ছেয়েছে আকাশে বৃষ্টি বুঝি আসন্ন— বাতাসের চোখ ছল ছল ভাসে প্রতীক্ষা কার জন্য? ওগো মেয়ে তুমি কার কথা ভাবো, সে কি ...
-
শুকনো বকুল চললি কোথায় ? গ্রহণলাগা দুপুরবেলা লাল মাটি পথ একলা চলা - রুদ্রপলাশ মোড়ের মাথায় ? কি বললি ? আজ বিকেলে মোরগ লড়াই ...
-
ওকি বৃষ্টির শব্দ ? নাকি পায়ের থেকে নূপুর খুলে হাতে নিয়ে তোর দৌড়ে আসার শব্দ ; যদি তাই হয় তবে এখন কেন ? এখন তো অনেক রাত , ব...
-
ছাদের কার্ণিশ ঘেঁষে রোজ খেলে মরে, একাকী দেয়ালে খেয়ালে বা অখেয়ালে... হেসে কুটে একাকার। মাথা নেড়ে নেড়ে অবাধ...
-
জীবনের পথ দিয়ে চলতে চলতে দিয়ার ক্লান্ত অবসন্ন মন্ ঘরের জানলায় চোখ রেখে আকাশটাকে দেখতে চাইত । কিন্তু তার আকাশটা হারিয়ে যেত , অভিমানে ...
-
বসন্তে যেমন ফুল ফোটে তেমন ফুল ঝরে। কুদরতের নিয়মে যত ফুল ফোটে ঠিক তত ফুলই ঝরে। আল্লা তালার হিসেব চুলচেরা। শুধু কি ঝরে ? ফুল কাঁদে , ফ...
-
হাইবারনেশানে যাই যখন তখন তার অবগাহনে ডুবে যেতে। ফিরে যাই সেই মাতোয়ারা দিনগুলোতে জীবনের জরদ্গভ প্রাচীর ডিঙিয়ে অদ্ভুত এক লুকোচুর...
There is nothing to feel too ashamed. You acted on natural instinct. Nice expression In your free Nd Fran write up
ReplyDelete