সম্পাদকীয় –
বছর গড়িয়ে গড়িয়ে তার মেয়াদের প্রান্তিক সীমায় এসে উপস্থিত প্রায়।
ইংরাজী বর্ষপঞ্জী, বিদায়ের প্রাক মুহূর্তে শীতের আগমনী গাইতে শুরু করে দিয়েছে।
হাওয়ায় হিমেল ভাব, কুয়াশামাখা রোদ, পৌষালি সোনা রঙের পাকা ফসল তোলার অপেক্ষায়। সময়
আসছে রসনার স্বাদ নতুন গুড়ের মিষ্টতায় তৃপ্ত হওয়ার। শীত বুঝি গুটিগুটি পায়ে এসে
ফিস্ফিস্ ক’রে কানে বলে যায়, মনে করিয়ে দেয় পশমের ওম।
আসন্ন শীতের এই অবকাশে চিলেকোঠাইম্যাগ গুটি গুটি পায়ে একবছর পূর্ণ
করল| নভেম্বর সংখ্যায় প্রথমেই শুরু করি এক সুন্দর সান্ধ্য অনুষ্ঠানের রোমন্থনে। গত
৫ই নভেম্বর, চিলেকোঠার অতি পরিচিত অ্যাডমিন সদস্যা নন্দিনী লাহার বাড়িতে সুন্দর
ঘরোয়া মেজাজে অনুষ্ঠিত হ’ল এক মনোজ্ঞ বৈঠক – আলোচনা ও আড্ডা মিলেমিশে, নানাজনের
ভাবনার আদান প্রদানে সেদিনের সে সন্ধ্যা সেজেছিল “বিজয়ার সেকাল ও একাল”
প্রসঙ্গে এক তথ্য ও তত্ত্বপূর্ণ আলোচনায়। চিলেকোঠার সদস্য/সদস্যারা ছাড়াও উপস্থিত
ছিলেন দুই অতিথি- নৃতত্ত্ববিদ ও খ্যাতনামা লেখক শ্যামল ভট্টাচার্য
মহাশয় ও ত্রিপুরা থেকে আগত গ্রাফিক্স কাহিনীকার অলোক দাশগুপ্ত মহাশয়| প্রত্যেকের
বক্তব্য যুগপত মুগ্ধ ও ঋদ্ধ করল উপস্থিত শ্রোতৃ্মণ্ডলীকে |
এবার আসি ওয়েবজিনের কথায়। যারা নিয়মিত তাঁদের সৃষ্টিকর্ম – কবিতা,
গল্প, বা নানাবিধ সাহিত্য, চিত্র ইত্যাদি দিয়ে এর প্রকাশকে অব্যাহত রেখেছেন তাদের
শুধু ধন্যবাদ নয়, কৃতজ্ঞতাও জানাই চিলেকোঠা ওয়েবজিন তথা সামগ্রিকভাবে চিলেকোঠার
সঙ্গে থাকার জন্য। এই সংখ্যায় কিছু নতুন লেখাও পাওয়া গেছে, যা বলা বাহুল্য
পত্রিকার পক্ষে এক আনন্দের উৎস। গুণে ও মানে এই ওয়েবজিন আরো ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে
অনেক দূর এই আশার প্রতি আস্থা রেখে আজ তবে শেষ করি। সকলের জন্য রইল আগাম শীতের
পশমী শুভেচ্ছা ও নলেন গুড়ের আশ্বাস |
No comments:
Post a Comment