লিখবো বললেই যে লিখে রাখা যায় মেঘের গায়ে বৃষ্টিকথা !
তার কোনো মানে হয়না কবি , সব বৃষ্টি বুঝি ব্যাকরণ মেনে
নেমে আসে পাথরের ফেটে যাওয়া চাতালে ?
মা কিশোরী বেলায় নদীর ধারে শুধু একবার হোলিতে ডুব দিয়েছিল ;
সব রং ধুয়ে যখন শাল পাতায় মুখ ঢেকে বাড়ি ফিরল -
তখন কোনো অংক ছিল না জীবনে , তাই হিসেবেও ভুল নেই ।
বাবা পাই টু পাই হিসেব বুঝে নিয়েছিল নদীর কাছে সেই রঙের;
ভুল ছিল সেটাই যে , মা তাঁর কিশোরী বেলার নদীতে
আমাদের কখনো স্নান করাতে পারেনি । ব্যাকরণে ভুল ছিল
সেখানের প্রতিটি ইট,কাঠ ,মাঠ তাই সব ধুলো হয়ে গেছে ,
বসন্ত উৎসব হয় কি আর সেখানের পলাশে আর মহুয়ায় ?
মা দেখতে যাওয়ার সময় পায়নি আর কখনো ।
যখন লালে লাল ফাগুনের হোলির সকাল ,
আড় বাঁশীতে সুর তোলে ফাগুনিয়া , ঠাকুর দালান থেকে
ঘ্রাণ আসতো বিষ্ণুর পরমান্নে দুধ আর এলাচের মিলনের ।
দোল মঞ্চের পাশে লাল পাড় শাড়িতে মা দাঁড়ালে
প্রদীপের আলো ম্লান হয়ে যেতো , ডান হাতের আঙুলে সিগারেটের
বদলে চিরকাল কলম দেখেছি বাবার , বহুবার মায়ের
সেই রঙ ধোয়া নদী- কলমের মুখে স্রোত বইয়ে দিয়েছে তবু যেন
সব রঙ ব্যাকরন মেনে রঙিন হয় না ।
নদী ভুল পথে বাঁক নিলেও , বাবা একটা আস্ত পলাশের
ডাঙা দিয়েছিল মাকে উপহার , মাঝখানে টলটলে জলের দীঘি।
রঙিন হতে হতে মা এক একটা বসন্তে সবটুকু রঙ উজাড় করে দিতো
বাবার স্বপ্নের পায়ে ।
মায়ের সেই রঙ পিচকিরির উল্টো টানে টানতে টানতে
বাবার বয়স পেরিয়ে যায় বৃষ্টিকথার মতো ।
রোগা শীর্ণ হাতে
লাল পাড় শাড়ির ঘোমটা তুলে দিচ্ছে আজ বাবা , মা রঙ্গিন
হয়ে ঘোলাটে চোখে তাকিয়ে থাকে কবির কলমের দিকে !
ভুল ব্যাকরনে শখের দোলমঞ্চ অসহায় । সমস্ত
জীবনীশক্তি ক্ষয় করে যে পাথরের চাতাল বানিয়ে
ফাগুনিয়া সুর তুলেছিল , তাতে যে ব্যাকরনের ভুল সুর সাধা ।
লাল পাড় শাড়ির ঘোমটা তুলে দিচ্ছে আজ বাবা , মা রঙ্গিন
হয়ে ঘোলাটে চোখে তাকিয়ে থাকে কবির কলমের দিকে !
ভুল ব্যাকরনে শখের দোলমঞ্চ অসহায় । সমস্ত
জীবনীশক্তি ক্ষয় করে যে পাথরের চাতাল বানিয়ে
ফাগুনিয়া সুর তুলেছিল , তাতে যে ব্যাকরনের ভুল সুর সাধা ।
No comments:
Post a Comment