ভাবলে দেখো, অনেক কথাই পড়ছে মনে -
টিনের চালে বাদ্যি বাজায় টাপুর টুপুর,
ছলাৎ ছলাৎ চপ্পলে এক হাঁটু জলে
নাক উঁচিয়ে উচ্চস্বরে ডাকছে কুকুর।
ঠিক তখনি ঢং ঢং ঢং ঘন্টা বাজে,
আর্মেনিয়াম চার্চে ঘড়ি ঠিক বারোটা,
বৌটা বাজায় খামখেয়ালি হার্মোনিয়াম,
যাত্রা দলের সঙ কেড়েছে রাত্রি গোটা!
ঠিক তখনই, নাড়ছি কড়া ক্লান্ত শরীর;
আলতো ক'রে ছিটকিনিটা খুলছো তুমি!
দেখছি তেলের লম্ফ জ্বলে গেরস্থলির,
দেখছি ভাঙা সান-বাধানো জন্মভূমি।
দেখছি ভাঙা ইঁটের পাঁজর পড়ছে খসে,
টাটকা দোষে দোসর দেওয়াল খামখেয়ালি;
গরাদ ভাঙা জানলা দিয়ে মুখচোরা চাঁদ,
কপাল পোড়া চোখের কোনে জমছে কালি।
এখন আমার অল্টো ছোটে বাতাস কেটে,
বুকের আঁচল প্রায় খসে যায় শ্যাম-দুলালী,
খানসামা'রা হালকা আলোয় বোতাম এঁটে
সুরায় ঢালে নীল-ছবি আর চোখের বালি।
এমনি করেই স্বপ্নগুলোর মৃত্যু হলে -
ডাইনি নাচে আস্তাবলের অন্ধকারে।
এমনি করেই লাগলে গ্রহন মেঘের কোলে,
শয়তানেরা কান পাতে এই রুদ্ধদ্বারে।
কেউ জানেনা, মুখটা আমার বদলে গেছে,
কেউ মানেনা, ঘুন ধরেছে আমার মনে;
কেউ বোঝেনা পিশাচ আমায় ভর করেছে,
কেউ দেখেনা, জিভটা আমার অলুক্ষুনে।
ভাবলে দেখো, রামতিওয়ারি ডিপ্রেশনে,
খাবলে মেখো, চাঁদের আলো কি মৌসুমি;
মধ্যরাতের পিটুইটারি সিক্রেশনে
শুনতে কি পাও - কাঁদছে তোমার জন্মভূমি?
No comments:
Post a Comment