প্রায় দশ মিনিট হয়ে গেল,এখনও উবেরটা এলোনা-ফোনে দেখাচ্ছে খুব কাছেই রয়েছে---অবশ্য এই রাস্তাটায় এই সময়টায় এত জ্যাম হয়, কিন্তু সময়ে না পৌঁছলে---যথেষ্ট উদ্বিগ্ন লাগছিল পরমকে।
---
চোখ ফেরানো যায়না এতটাই সুদর্শন পরম সিং, গ্রাম থেকে শহরে এসেছিল সিনেমায় অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে, রোজগারের আশা নিয়ে ---বোনের বিয়ে, বাবার কারখানার লক আউট, মায়ের অসুস্থতা--সবের মাঝে ওর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছিলো, ওর এই সুন্দর চেহারাটাকেই সম্বল করে ও অকূল পাথারে ঝাঁপ দিয়েছিল ।
---
ঐ যে এসে গেছে, পরম উবেরে উঠে আর একবার অ্যাড্রেসটায় চোখ বুলিয়ে নিলো।
ক্লায়েন্ট আসবার আগেই ওকে হোটেলের রুমে পৌঁছতে হবে।
ক্লায়েন্টের বিবরণ দেওয়া আছে।
মহিলার বয়স প্রায় তার দ্বিগুণ।
ওকে ছবিও পাঠানো হয়েছে।
আজ এই মহিলাকে সুখী করতে পারলে পুরো একলাখ টাকা পাবে, টাকার বড় দরকার --বোনটাকে ভালভাবে মানুষ করতে হবে!
---
ইদানীং 'জিগোলো' পরমের চাহিদা খুব বেড়েছে---
আবার একটা ফোন আসছে, আজ আর ভাল লাগছেনা, তবু কিছু করার নেই, হোটেলের সঙ্গে ও চুক্তিবদ্ধ--
ফোনটা তুলে হ্যালো বলল পরম --
'পরম, আমি শ্রেয়া---'
প্রচন্ড চমকে ফোনটা কেটে দিলো পরম--শ্রেয়া! তার একমাত্র ভালবাসা!
আবারও বাজছে ফোনটা--শ্রেয়া!
পরম ফোনটা তুলে বললো, 'সরি, রং নাম্বার! '
এজেন্টের দেওয়া অন্য ফোনটা বাজছে--পরম সেই ফোনটা রিসিভে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
গল্পটা পড়ে কিছুটা অসম্পূর্ণতার আক্ষেপ থাকলেও লেখিকার মুন্সিয়ানা আছে । বোঝা গেল ওর হাতে গদ্য ভালোই আআছে ।
ReplyDelete