সম্পাদকীয় -
বছর তার লট-বহর গুছিয়ে প্রায় তৈরি – কটা
দিন পরেই অতীতের তেপান্তরে পাড়ি জমাবে সে। ২০১৭ জায়গা ছেড়ে দেবে আর এক নতুন বছর কে
- ২০১৮ নতুন কলেবরে এসে আবির্ভাব হবে আগামী দিনপঞ্জীর প্রাত্যহিকীতে। কালের
নিয়মে নির্ধারিত এ বিদায়পর্ব ফিরে ফিরে আসে, আসে নতুন বছর নতুন নামে। এভাবেই একাবিংশ
শতাব্দী এগিয়ে চলেছে।
আমরাও সেই চিরাচরিত নিয়মের হাত ধরে এগিয়ে
চলেছি। জীবনের নানা সংঘাত, নানা সুখ-দুঃখকে মোকাবিলা করে এগিয়ে চলেছি আগামীকে বরণ
করে নেব বলে। আরও নতুন নতুন আশা জন্ম নেবে মনে। এভাবেই জীবন চির বহমান, গতিময়
ও নিত্য ঘটমান।
চিলেকোঠা এমনই এক বর্ষ সন্ধিক্ষণে আজ প্রকাশিত
হল তার ই-ম্যাগের সম্ভার নিয়ে। বহু গুণী লেখক – কবিদের সম্বৃদ্ধ লেখনীর অবদানে এ সংখ্যাটিও
উৎকর্ষতার এক সুন্দর ভাণ্ডার নিয়ে উপস্থিত। সকল সদস্য-সদস্যার
শতস্ফুর্ত যোগদান, তাঁদের সৃষ্টিশীল অবদানকে চিলেকোঠা কৃতজ্ঞতা
জানাচ্ছে অকুণ্ঠ হৃদয়ে। এমন সহৃদয় সহযোগীতা পেয়ে চিলেকোঠা ই-ম্যাগ
সত্যিই নতুন কিছু করার প্রয়াস নিতে বিশেষ ভাবে অনুপ্রাণিত হয়। বেশ কিছু সুন্দর
পরামর্শ ও অনুরোধ পাওয়া গেছে সদস্য-সদস্যাদের কাছ থেকে। সে গুলি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা
করা হচ্ছে, ও যথাসময়ে তার কিছু কাজে করে দেখানোর সদিচ্ছাও পোষন করি আমরা। যারা নানা-রকম
পরামর্শ জানিয়েছেন এই ই-ম্যাগকে আরও সম্বৃদ্ধ করার জন্য, তাঁদের
সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শীতের আগমন বোধহয় এখন খানিকটা সুনিশ্চিত ভাবে
ধরা দিয়েছে, আকাশে বাতাসে তাই এক হিমশীতল ভাব। কবির ভাষায় – ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে...’। এই
শীতকাল বাঙালীর কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় – সামনে আছে বইমেলা, আছে
নানান সঙ্গীতানুষ্ঠান – বিশেষতঃ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আর সর্বোপরি আছে পোষ-পাবণের মহাভোজ পিঠে-পায়েস, নতুন গুড়। সবাই খুব ভাল থাকুন – গানে আর ঘ্রাণে, পাঠে আর পিঠেতে, এই শুভকামনা জানিয়ে আজ এখানেই থামা যাক।
No comments:
Post a Comment